আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিমন্যু ঈশ্বরণের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হল। ৯৬১ দিন কেটে গেলেও মিলল না সুযোগ। প্রায় তিন বছর আগে প্রথমবার ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পান বাংলার ক্রিকেটার। কিন্তু এখনও অভিষেক হল না। তাঁকে ছাপিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও প্রহর গুনছেন অভিমন্যু। একাধিক বিদেশ সফরে ভারতীয় দলের অঙ্গ। অধিকাংশ সময়ই ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্যাপ পেলেন না। তিনি প্রথমবার ডাক পাওয়ার পর ১৫ জনের ভারতীয় দলে টেস্ট অভিষেক হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন কেএস ভরত, সূর্যকুমার যাদব, যশস্বী জয়েসওয়াল, ঈশান কিষাণ, মুকেশ কুমার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রজত পতিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল, আকাশ দীপ, দেবদত্ত পাড়িক্কল, নীতিশ কুমার রেড্ডি, হর্ষিত রানা, সাই সুদর্শন এবং অংশুল কম্বোজ। 

একাধিক অধিনায়কের অধীনে বিদেশ সফর করেছেন ঈশ্বরণ। যখন প্রথম সুযোগ পেলেন, তখন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার থিঙ্কট্যাঙ্কের অঙ্গ গৌতম গম্ভীর। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ মেলেনি। এবার অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে দলের বোঝা হয়েই থাকলেন। দুটো মেজর সিরিজে একটি ম্যাচেও সুযোগ পেলেন না। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা ভাগ্য খারাপ তাঁর। বা কতটা উপেক্ষিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে খুবই সফল অভিমন্যু। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাঁর বদলে আরও আগ্রাসী ব্যাটার সুযোগ পান। এখনও অপেক্ষায় অভিমন্যু। 

রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির অবসরের পর টেস্টে হাতেখড়ি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অভিমন্যু ঈশ্বরণের। ঘরোয়া ক্রিকেটে একটানা ভাল পারফরম্যান্সের পর অবশেষে কপাল খোলার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিপত্তি ঘটে। ইংল্যান্ড সফর শুরুর আগে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটো বেসরকারি চারদিনের ম্যাচ খেলে ভারতীয় এ দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন অভিমন্যু। কিন্তু ব্যাট হাতে দুটো টেস্টেই ডাহা ব্যর্থ। যা শোরগোল ফেলে দেয় নেটমাধ্যমে। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুটা নড়বড়ে হয় ভারতীয় এ দলের। চাপের মুখে আবার ব্যর্থ টপ অর্ডার। রান পাননি যশস্বী জয়েসওয়াল এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন বাংলার ক্রিকেটার। কিন্তু আবার ব্যর্থ। ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন। ওকসের বলে ফেরেন ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক। জোড়া বাউন্ডারি মেরে শুরুটা মন্দ করেননি। কিন্তু উইকেটে টিকতে পারেননি। তারপরই নেটমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, আন্তর্জাতিক স্তরে লাল বলের ক্রিকেটের জন্য তৈরি নয় বাংলার ক্রিকেটার। অধিকাংশ‌ই তাঁর টেস্ট অভিষেক হওয়ার বিপক্ষে ছিল। অনেকেই মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল হলেও, এখনও বিদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার জন্য তৈরি নয় অভিমন্যু। দুটো বেসরকারি টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় ভাগ্যের দরজা খোলার আগেই বন্ধ হয়ে যায়।