আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা হয়েছে সন্তোষ ট্রফি জিতে শহরে ফিরেছে বাংলা দল। তারই মধ্যে প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রতিশ্রুতি অনেকেই দেয়, কিন্তু খাতায় কলমে আদৌ সেটা কতটা কার্যকরী হয়, সেই নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যেমন কথা, তেমন কাজ। বৃহস্পতিবার নিজের কার্যালয়ে সন্তোষ জয়ী বাংলা দলের ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেন। ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জ। সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের সদস্যদের চাকরি সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে আইএফএ অফিসে রাজ্য সরকারের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিল বাংলা দলের ফুটবলাররাও। খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র পূরণের কাজ সম্পন্ন করেন তাঁরা। পুলিশে চাকরি দেওয়া হচ্ছে বাংলার ফুটবলারদের। দলের প্রত্যেক ফুটবলারকেই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, তাঁদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের (এএসআই) পদ দেওয়া হচ্ছে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তাঁদের কনস্টেবলের পদ দেওয়া হচ্ছে।
৭২ ঘণ্টা আগে নিজামের শহরে কেরলকে হারিয়ে ৩৩তম বার সন্তোষ ট্রফি জেতে বাংলা। ম্যাচের জয়সূচক গোল করেন রবি হাঁসদা। সন্তোষের একটি সংস্করণে ১২ গোল করে মহম্মদ হাবিবের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছাপিয়ে যান আদিবাসী ফুটবলার। কলকাতায় পা রাখতেই বিমানবন্দরে গ্র্যান্ড অভ্যর্থনা পায় বাংলা দল। সঞ্জয় সেনের দলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ আইএফএর কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। ১৮ জানুয়ারি ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভার পর সন্তোষ জয়ী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেবে মোহনবাগান।
