আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতীত পেছনে ফেলে সামনের দিকে তাকাতে চান সঞ্জয় সেন। আট বছর পর আবার সন্তোষ ট্রফি জয়ের হাতছানি বাংলার সামনে। এই সুযোগ কোনওভাবে হাতছাড়া করতে চান না। মাঝে দু'বার ফাইনালে উঠলেও, কেরলের কাছে হারতে হয়েছে। তারমধ্যে একবার ঘরের মাঠে। এবার প্রতিশোধের পালা। যদিও অতীত নিয়ে ভাবতে চান না সঞ্জয় সেন। সম্পূর্ণ একটি নতুন ম্যাচে নামার মনোভাব এবং প্রস্তুতি নিয়েই নামতে চান। এই নিয়ে মোট ৪৭ বার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা। তারমধ্যে ৩২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেষবার ২০১৬-১৭ মরশুমে ট্রফি জিতেছে। এরপর ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরশুমে ফাইনালে কেরলের কাছে হারতে হয়েছে। সেবার টাইব্রেকারে হারে বাংলা। শেষ দু'বার টুর্নামেন্টের মূলপর্বে উঠতে পারেনি বাংলা। এবার দু'দলই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে।
অষ্টমবার ট্রফি জেতার লক্ষ্য নিয়ে নামবে কেরল। তবে ফেভারিট তকমা থাকবে বাংলার দখলে। রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠা গোলের মধ্যে রয়েছে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি গোল রবির। ১১ গোল করে ফেলেছেন বাংলার স্ট্রাইকার। ফাইনালে তাঁর পা থেকে জয়সূচক গোলের অপেক্ষায় বাংলায় ফুটবলপ্রেমীরা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নামায় আগে সতর্ক সঞ্জয় সেন। চ্যাম্পিয়ন না হলে গোটা টুর্নামেন্টে ভাল খেলার কোনও মূল্য থাকবে না, মনে করেন বাংলায় কোচ। সঞ্জয় সেন বলেন, 'সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে ওঠা বাকি দলগুলোর কাছে কৃতিত্বের হতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে নয়। চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে অর্থহীন। মানছি আমরা ৩২ বার ট্রফি জিতেছি। কিন্তু এখন সন্তোষ ট্রফি অনেক বড় এবং কঠিন প্রতিযোগিতা। অনেক বেশি রাজ্য খেলছে। এখন ট্রফি জেতা কঠিন।' স্ট্রাইকারদের প্রতি বাড়তি নির্ভরতা ভাবাচ্ছে বাংলার কোচকে। অন্যদিকে গোল করার লোকের অভাব নেই কেরল দলে। রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের রোশাল। সেমিফাইনালে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে হ্যাটট্রিক করেন। এছাড়াও কেরল দলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা লিগে খেলা চার ফুটবলার। এখনও পর্যন্ত চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে তাঁরা। তাই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে সঞ্জয় সেনের ছেলেদের।
