আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে মায়াঙ্ক যাদবের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের আগে তাঁকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির একটি বিশেষ শিবিরে ডাকা হয়েছে। গত আইপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। তরুণ পেসারের গতি সামলাতে হিমশিম খায় ব্যাটাররা। কিন্তু চোটের কবলে পড়েন। আইপিএলের বাকি ম্যাচ আর খেলা হয়নি। দীর্ঘ চোট সারিয়ে এবার মাঠে ফেরার জন্য তৈরি স্পিড সেনসেশন। আইপিএলে ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেন মায়াঙ্ক। এবার তাঁকে জাতীয় দলের জন্য ভাবা হচ্ছে। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ও কতটা তৈরি দেখতে চায় নির্বাচকরা। সামনে লম্বা টেস্ট মরশুম। তাই টি-২০ সিরিজে নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দিতে চায় নির্বাচকরা।' 

বর্তমানে এনসিএতে ট্রেনিং করছেন ভারতীয় স্পিডস্টার। গত এক মাসে অনেকটাই ফিট হয়ে গিয়েছেন। চোটের জায়গায় কোনও ব্যথা অনুভব করেননি। বোর্ড কর্তা বলেন, 'গত এক মাসে ব্যথার উল্লেখ করেনি মায়াঙ্ক।‌ এনসিএতে পুরোদমে বল করছে। তিনটে স্পেলে সাদা বলে দিনে প্রায় ২০ ওভার বল করছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ওর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।' যারা বেশ কয়েকদিন ক্রিকেটের বাইরে, কিন্তু আসন্ন টি-২০ সিরিজের জন্য ভাবা হচ্ছে, তাঁদের নিয়েই এই বিশেষ শিবির হচ্ছে। হার্দিক পাণ্ডিয়া, রিয়ান পরাগ এবং অভিষেক শর্মারও এই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা। ধীরে ধীরে মায়াঙ্ককে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন নির্বাচকরা। যদিও এখনও রঞ্জি ট্রফির জন্য ফিট সার্টিফিকেট পাননি। তবে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য তাঁর নাম ভাবা হচ্ছে। শুধুমাত্র টি-২০ ক্রিকেটে তাঁকে বেঁধে রাখতে চায় না নির্বাচকরা। মায়াঙ্কের জন্য ইতিবাচক দিক হল, হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বোলিং কোচ মর্নি মরকেল আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টে‌ তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। ৬ অক্টোবর থেকে ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজ শুরু।