আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে না গিয়েও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বিসিসিআই। কিন্তু কী করে। আসলে বিসিসিআই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবে।


প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপ এবার আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। ২৪ জুলাই এই বিষয়ে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। আগেই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য প্রতিনিধি পাঠাবে না বিসিসিআই। ভারতীয় দলের সফরও এই একই কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার জানা গেছে, বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।


একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের পক্ষ থেকে সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা অনলাইনে সভায় যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সভা। এই সভা নিয়েই বিসিসিআইয়ের আপত্তি ছিল। স্থানান্তরের কথাও জানিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। যদিও শেষমেশ বোর্ডের তরফে সশরীরে কেউ উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি থাকতে চলেছেন।


কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, শুধু ভারত নয় শ্রীলঙ্কা, ওমান, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলির বোর্ডও এই বৈঠক প্রতিনিধি পাঠাতে চায় না। সেই কারণেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল কি এশিয়া কাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারবে? এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে এশিয়া কাপ নিয়ে জট কবে কাটবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

 

আরও পড়ুন:‌ টানা ১৪ ম্যাচে টস হার!‌ লজ্জার রেকর্ড বাড়িয়েই চলেছে ভারত


অবশ্য সূত্রের খবর, এশিয়া কাপ হলে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সবার উপরে থাকছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা ৫ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল ২১ সেপ্টেম্বর। আর ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ৭ সেপ্টেম্বর। যদিও কোনও কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়। বৃহস্পতিবার বৈঠকে এশিয়া কাপ নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কি না, সেটাই দেখার।


এটা ঘটনা, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। কারণ, পাকিস্তান ভারতে এসে খেলুক, এ ব্যাপারে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপ না হলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।


পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক বাজেট অনুযায়ী ২০২৪–২৫ অর্থ বছরে তাদের মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৮.৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৫৬৮ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে শুধু আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে পিসিবি’র অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে প্রায় ৮.৮ বিলিয়ন রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৬৫ কোটি টাকারও বেশি।


তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসিসি থেকে ২৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন রুপি) পাওয়ার আশায় রয়েছে তারা। একই সঙ্গে এশিয়া কাপ হলে সেখান থেকে পাকিস্তানের আয় হবে ১.১৬ বিলিয়ন রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। তাছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সিরিজ থেকে ৭.৭৭ মিলিয়ন রুপি আয় হওয়ার কথা পিসিবি’র।