আজকাল ওয়েবডেস্ক: সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মিলিত হবে এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য। টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ৯ সেপ্টেম্বর। তবে ক্রিকেটাররা তাদের নিজ নিজ শহর থেকে সরাসরি দুবাই পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে। দলের সকলে একসঙ্গে মুম্বই হয়ে রওনা দিচ্ছেন না। জানা গিয়েছে, লজিস্টিকসের সুবিধা এবং খেলোয়াড়দের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সিনিয়র বিসিসিআই কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘সব ক্রিকেটার ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে দুবাই পৌঁছে যাবে এবং প্রথম নেট সেশন হবে ৫ সেপ্টেম্বর আইসিসি অ্যাকাডেমিতে। লজিস্টিকসের সুবিধার কারণে খেলোয়াড়রা তাদের নিজ শহর থেকে সরাসরি দুবাই ফ্লাইটে আসবেন’।
ওই কর্মকর্তা জানান, ‘কেউ কেউ মুম্বই থেকে আসবেন, কিন্তু বাকি খেলোয়াড়দের মুম্বই আসার পরে দুবাই যাওয়া অযৌক্তিক। তাছাড়া, দুবাইয়ের ফ্লাইট অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের তুলনায় সংক্ষিপ্ত’। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত ১০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি হবে। গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে ওমান (১৯ সেপ্টেম্বর)। এরপর সুপার ফোর পর্যায় শুরু হবে। এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে, অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা নর্থ জোনের হয়ে দলীপ ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে যাচ্ছেন, আর কুলদীপ যাদব সেন্ট্রাল জোনের হয়ে নর্থ ইস্ট জোনের বিপক্ষে মাঠে নামবেন। তবে স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকা ক্রিকেটার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বা ওয়াশিংটন সুন্দর মূল স্কোয়াডের সঙ্গে নেট বোলার হিসেবে দুবাই যাবেন কিনা সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের আগে বিপাকে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। করোনা অতিমারির সময়ে ওষুধ মজুত করার অভিযোগে গম্ভীরের নামে মামলা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের ওই বিচার প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করল দিল্লি হাইকোর্ট। ফের ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে গম্ভীরের বক্তব্য শোনা হবে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ ছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুতের দায়ে মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালতে ওই মামলার শুনানি চলছে। সেই বিচারপ্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গম্ভীর। গত সোমবার তাঁর আইনজীবী হাইকোর্টে শুনানির সময় জানান যে, গম্ভীর প্রাক্তন সাংসদ, জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, কোভিডের সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ দিয়ে মানুষের সাহায্য করেছেন।
যার জবাবে বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণ বলেন, ‘যদি আপনি বিষয়টা সহজ করে বলতেন, তাহলে ভেবে দেখতাম। আপনি অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছেন। আপনার মক্কেল, তাঁর নাম, তাঁর যোগ্যতা–পরিচয় এসব উল্লেখ করে কোর্টের সামনে কাজ চালাতে পারবেন না।’ আদালতের তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘একবার স্থগিতাদেশ দিলে আপনি কোর্টে হাজির হওয়া বন্ধ করে দেবেন, তদন্তও বন্ধ হয়ে যাবে।’ ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে ফের শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় গৌতম গম্ভীরের সংস্থার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ প্রচুর পরিমাণে মজুত করার অভিযোগ উঠেছিল। গৌতম গম্ভীর নাকি তাঁর সংসদীয় এলাকায় বিনামূল্যে এই ওষুধ বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তখন ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক দীপক সিং ওই বেআইনি মজুতের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছিলেন। যেখানে সাধারণ মানুষ ওষুধ পেতে বিপাকে পড়েছিল, সেখানে রাজনৈতিক নেতারা ওষুধ মজুত করছে? এমন অভিযোগ উঠেছিল। অতিরিক্ত পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুতের দায়ে গম্ভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
