আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনের দলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যত নিয়ে এখনও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে সুযোগ পেলেও ২০২৭ বিশ্বকাপে দুই মহাতারকার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এবার বিসিসিআই এবং নির্বাচক কমিটির সিদ্ধান্তকে সমর্থন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। দুই এককালীন সতীর্থকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে অশ্বিন জানান, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপের রাস্তা খোলা রাখা উচিত রোহিত এবং বিরাটের। অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের স্বীকৃতিকে কুর্নিশ জানান। টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সমর্থনে প্রাক্তন তারকা।
নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, 'রোহিতের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। কিন্তু ও কি ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে এগোচ্ছে? এই প্রশ্ন নির্বাচক কমিটি এবং কোচ করবেই। অবশ্যই ওরা এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। প্রথমত, কোহলি এবং রোহিত আমাদের ২০২৭ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই। দ্বিতীয়ত, যদি তাঁদের দলে নেওয়াই হয়, তাঁরা কি ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজেদের ফর্ম ধরে রাখতে পারবে? দুটোই বড় প্রশ্ন।' অশ্বিন মনে করেন, ভারতীয় এ দল বা বিজয় হাজারেতে খেললে, তাঁদের ছন্দ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে তাঁদের দায়বদ্ধতারও পরিচয় দেবে। অশ্বিন বলেন, 'ওদের সার্ভিস পেতে হলে, একটা উপায় বের করতে হবে। ওদের সেই সুযোগ দিতে হবে। ওদের সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও যদি ওরা না বলে, তাহলে অন্য বিষয়। নির্বাচক বা কোচ যদি ওদের কোনও সিরিজে খেলতে বলে, সেটা ওদের খেলা উচিত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য নয়, নিজেদের ছন্দে রাখতে।'
বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাঁদের ফর্ম ধরে রাখা নিয়ে চিন্তা থাকেলও, নিঃসন্দেহে দু'জনের অভিজ্ঞতার কথা ভাবা হবে। এমনই দাবি তাঁদের প্রাক্তন সতীর্থের। অশ্বিন বলেন, 'আমার মনে হয় না কোনও নির্বাচক বা কোচ বলবে, বিরাট এবং রোহিতের সার্ভিসের আর দরকার নেই। এত প্রশ্নচিহ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ পর্যন্ত এগোনো যায় না।' অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে রোহিতকে সরিয়ে এদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হয় শুভমন গিলকে। এই পদক্ষেপকে সমর্থন প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনারের। অশ্বিন বলেন, 'নির্বাচকরা হয়তো ভেবেছে, রোহিত যদি অধিনায়ক থাকে এবং ২০২৬ সালে আনফিট থাকে, তখন নতুন একজন নেতাকে তৈরি করার সময় থাকবে না। তাই যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' অশ্বিন মনে করেন, ২০২৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় যেতে চেয়েছে বিসিসিআই।
