আজকাল ওয়েবডেস্ক: চার মাস নির্বাসিত করা হল আনোয়ার আলিকে। অর্থাৎ, আইএসএলের প্রথম পর্বে তারকা ডিফেন্ডারকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। শাস্তির কবলে পড়তে হল দুই ক্লাবকেও। দুটো উইন্ডোতে কোনও নতুন প্লেয়ার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। এছাড়াও ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোহনবাগানকে ১২.৯০ কোটি টাকা দিতে হবে। আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে মিলে এই বড় অঙ্ক মোহনবাগানকে দিতে হবে। আনোয়ার ইস্যুতে দিন দশেক আগে চূড়ান্ত রায় বেরোনোর কথা ছিল। কিন্তু সেটা পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে অর্ডার এসে গেল। এই অর্ডারের বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে অ্যাপিল করবে ইস্টবেঙ্গল।
১৩ আগস্ট ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-র অনুষ্ঠানের মঞ্চে আনোয়ার আলির হাতে লাল হলুদ জার্সি তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর হাতে চার নম্বর জার্সি তুলে দেন। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে আনোয়ারের ইস্টবেঙ্গলে আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশের সেরা ডিফেন্ডারকে পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সই করানো হয়। আনোয়ার জানান, সমর্থকদের আবেগ দেখে মুগ্ধ তিনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। কিন্তু আপাতত লাল হলুদ জার্সিতে মাঠে নামা হচ্ছে না আনোয়ারের। মোহনবাগানের চুক্তি ভেঙে কলকাতার আরেক প্রধানে যোগ দেওয়ার জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হল জাতীয় দলের ডিফেন্ডারকে। একইসঙ্গে শাস্তির কোপ পড়ল ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির ওপরও। তবে এখানেই সমস্যা মিটবে না। এই জল অনেকদূর গড়াবে। রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন আনোয়ার।
