আজকাল ওয়েবডেস্ক: রঞ্জি এবং বিজয় হাজারেতে ভাল পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়নি মহম্মদ সামির। তাঁকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি নির্বাচকরা। তাঁদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য কি তৈরি হচ্ছেন তারকা পেসার? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। মাত্র ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও। কিন্তু তাতেই ধরা পড়ে পুরনো সামির ঝলক। নেটে লাইন লেন্থ বজায় রেখে গতিতে বল করতে দেখা যায় বাংলার পেসারকে। ক্যাপশনে লেখেন, 'নির্ভুলতা, গতি এবং প্যাশন, বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নেওয়ার জন্য তৈরি।' নিজের প্র্যাকটিস সেশনের ভিডিও পোস্ট করেন ভারতীয় পেসার। এই ভিডিও বোর্ডের নির্বাচকদের কড়া বার্তা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সাদা বলের সিরিজে আন্তর্জাতিক কামব্যাকের জন্য যে তিনি প্রস্তুত, সেটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্যও তৈরি। তবে সবটাই নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন সামি। গোড়ালির চোট সারিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে বাইশ গজে কামব্যাক করেন। একটা সময় তাঁকে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথে পাঠানোর কথা চলছিল। কিন্তু ফের হাঁটু ফুলে যাওয়ায় কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি নির্বাচকরা। মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের আগে বোঝা যায় বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে আর খেলা হবে না সামির। তারকা পেসারের ফিটনেস এবং সম্পূর্ণ মাঠে ফেরা নিয়ে স্বচ্ছতা বজার রাখার দাবি তোলেন রবি শাস্ত্রী। তিনি মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ায় সামিকে দলের সঙ্গে রাখা উচিত ছিল। তাতে তাঁর রিহ্যাবে সুবিধা হতো। শাস্ত্রী বলেন, 'ও ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে সেটা স্পষ্টভাবে জানানো উচিত। ওর মতো প্লেয়ারকে আমি অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসতাম। আমি দলের অঙ্গ হিসেবেই ওকে রাখতাম। সেরা ডিজিওদের দিয়ে পর্যবেক্ষণ করাতাম। তৃতীয় টেস্টের পর ওর খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতাম।' সামির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন তারকা এবং ধারাভাষ্যকার। আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে তারকা পেসারের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন হয় কিনা সেটাই দেখার।
