আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুনীল ছেত্রীদের হেডস্যর হওয়ার জন্য ১৭০টি দরখাস্ত জমা পড়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে। মানোলো মার্কেজ পদত্যাগ করার পরে ভারতের হেড কোচের চেয়ার খালি পড়ে রয়েছে। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মতো আইএসএলের অভিজ্ঞ কোচ ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য।
খালিদ জামিল, সঞ্জয় সেনের মতো দেশীয় কোচও আবেদন করেছেন জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য। ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন তৃতীয় বার কোচ হওয়ার জন্য তদ্বির করেছেন।
হংকংয়ের কাছে হারের পরে মানোলো মার্কেজ সরে যান। এদিকে ফিফার ক্রমতালিকায় ভারত ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত কোচ বাছাই করা হয়নি। যাঁর হাতেই উঠুক ভারতের রিমোট কন্ট্রোল, তাঁর প্রথম পরীক্ষা ৯ অক্টোবর। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ভারতের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর।
আরও পড়ুন: মা চাননি ছেলে ক্রিকেট খেলুক, কথা না শুনে রাসেল আজ কোটি কোটি টাকার মালিক
মানোলো জমানায় ভারতীয় ফুটবলের হতশ্রী চেহারা বেরিয়ে এসেছে। আটটি ম্যাচে একটিতেও জয় নেই। প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপকে কেবল হারিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফেডারেশনের জোড়াজুড়িতে থেকে যান মানোলো।

২০২৪ সালে ইগর স্টিমাচের বিদায়ের পরেই মানোলোকে কোচ করে আনে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৩ গোলে জেতা ছাড়া বলার মতো পারফরম্যান্স নেই। জয়ের শতাংশ মাত্র ১৩।
সেই মার্কেজ বলেছেন, ''এপ্রিলেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তারা বলেন জুন অবধি থেকে যেতে। আমাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল থেকে যাওয়ার জন্য। আর খারাপ ফলের দায় তো আমারও। আমিও আচমকা ছেড়ে দিতে চাইছিলাম না। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা বারবার অনুরোধ করছিলেন।'’
প্রসঙ্গত, এশিয়ান কাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ভারতের শুরু অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র। হংকংয়ের কাছে হার। এরপরেই বিদায় নেন মার্কেজ। তাঁর কথায়, ''কোচ হিসেবে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু বিষয় নিজের আয়ত্ত্বে থাকে না। তখন বিদায় নিতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ফল ভাল হলে হয়ত থেকে যেতাম।'’
আইএসএলে ২০২০–২১ সালে এসেছিলেন মার্কেজ। হায়দরাবাদকে আইএসএল জিতিয়েছেন। তিন বছর সেখানে থাকার পর নেন গোয়ার দায়িত্ব। জিতেছেন সুপার কাপ। গত বার একসঙ্গে গোয়া ও ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন। এখন আবার সামলাবেন শুধু গোয়ার দায়িত্ব। তাঁর কোচিংয়ে ৬২ ম্যাচে ৩৮ ম্যাচ জিতেছে গোয়া। হার ১২ ও ড্র ১২।

এদিকে ভারতীয় ফুটবল আরও অন্ধকারের পথে হাঁটছে। ছিল ১২৬। ফিফার সাম্প্রতিক ক্রমতালিকায় আরও সাত ধাপ নেমে গেল ভারতীয় ফুটবল। সুনীল ছেত্রীরা এখন ১৩৩ নম্বরে।
২০১৬-১৭ মরশুমের পরে এতটা নীচে নামল ভারতীয় ফুটবল। ভারতীয় ফুটবল ক্রমশ পিছিয়েই পড়ছে। আরও কত নীচে নামবে ভারতীয় ফুটবল, এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করে দিয়েছে ভারতের ফুটবলমহলে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় নেই। হতশ্রী পারফরম্যান্স। গোলের দেখা নেই। সব মিলিয়ে পিছিয়েই চলেছে ভারতীয় ফুটবল। তার প্রতিফলন পড়েছে ক্রমতালিকায়।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন যাঁর হাতে জাতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল তুলে দেবেন, তিনি কি আলোর দিশা দেখাতে পারবেন? ভারতীয় ফুটবল নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন। উত্তর জানা নেই।
