আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডসে লেখা হল নতুন এক রূপকথা। একদা ঘুমিয়ে পড়া এক অধিনায়কের ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙল দক্ষিণ আফ্রিকার। ঘুম ভাঙল একটা জাতির।
তেম্বা বাভুমা হয়তো ক্রিকেটের নেলসন ম্যান্ডেলা। লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তিনি হাত তুলছেন। ক্রিকেটবিশ্ব পেল নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে।
দুরন্ত এক জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পরে কেশব মহারাজ ভাল করে কথাই বলতে পারছিলেন না। প্রায় কাঁদতে কাঁদতে মহারাজ বললেন, ''এটা সব অর্থেই স্পেশ্যাল। আমাদের সমর্থন করতে যাঁরা এসেছেন, যাঁরা দেশে রয়েছেন, তাঁদের জন্য এই ট্রফিটা তুলে ধরা দারুণ গর্বের। এই ফাইনালের সময়ে আমাদের মধ্যে যে একতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, সেটাই আমাদের দেশ।''
এক অনন্ত প্রতীক্ষারও বুঝি শেষ হল। দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই হৃদয় ভাঙার সব গল্প বিশ্বকাপে। শুরু সেই ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে। বলার মতো পারফরম্যান্স ১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ জয়। তার পরে হৃদয় ভাঙার গল্পই লিখে এসেছে প্রোটিয়া ব্রিগেড।
লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাই রাজা। লর্ডসে আইডেন মার্করামই নায়ক। এদিন জেতার জন্য দরকার ছিল ৬৯ রান। সেই ৬৯ রান তোলা কঠিন করে তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। কিন্তু মার্করাম মনে হয় অন্য ধাতুতে গড়া এক ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দেশকে জেতাতে তিনি পারেননি। জয়ের জন্য ৬ রান যখন দরকার, তখন মার্করাম ফিরে যান। কিন্তু মার্করামের ওই ১৩৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেয় দারুণ এক জয়। ম্যাচের সেরাও তিনি।
জয়ের নায়ক বলছেন, ''এর থেকে দামি রান আগে কখনও করিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পরেও সব ঠিকঠাকই হল। কখনও কখনও ভাগ্যের দরকার হয়।''
বহু বছর পরে আসা এক জয় ক্ষণিকের জন্য মোহাবিষ্ট করে দিয়েছিল ক্রিকেটারদের। মার্করাম ম্যাচের সেরা। কিন্তু আসল নায়ক অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। লর্ডসে তাঁর লড়াই চিরকাল মনে রাখবেন ক্রিকেটপাগলরা। অধিনায়ক বাভুমা সম্পর্কে মার্করাম বলছেন, ''দুই-তিন বছর ধরে আমাদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তেম্বা। এমন একটা ইনিংস খেলেছে,যেটা অনেক মানুষই মনে রাখবে।''
