আজকাল ওয়েবডেস্ক: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়ের ম্যাচ খেলতে ইরানে যায়নি মোহনবাগান। আজ মহা অষ্টমীর দিন সেপাহান ক্লাবের সঙ্গে খেলা ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। মোহনবাগান ইরানে না যাওয়ায় তা নাম প্রত্যাহারেরই সামিল বলে মনে করছে এএফসি। এএফসি কাপের আর কোনও ম্যাচ খেলতে পারবে না মোহনবাগান। আহালের সঙ্গে ম্যাচটিও বাতিল বলে বিবেচিত হল। একপ্রকার বহিষ্কারই করা হল মোলিনার দলকে। এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মোহনবাগান ইরান গেল না।
রবিবার সকালে যুবভারতীতে প্র্যাকটিস করে দুবাই হয়ে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল দলের। কিন্তু বিদেশি ফুটবলারদের ভিসা সমস্যার জন্য তাঁদের ইরানে যাওয়া সম্ভব হবে না। মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেও সেই সমস্যা মেটাতে পারেনি। শেষমেষ শুধু দেশীয় ফুটবলার নিয়ে ইরানে যেতে চায় না ম্যানেজমেন্ট।

আগের বছরও এমনই ঘটনা ঘটেছিল। তবে তখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ছিল। তাই প্লেয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ইরানে দল পাঠানো হয়নি। এবারও বিদেশি এবং স্বদেশী ফুটবলাররা নিরাপত্তার কারণে ইরানে যেতে চায়নি। শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তাঁরা। নিরাপত্তার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এএফসির কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়েছিল মোহনবাগান। শেষপর্যন্ত ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট।
এদিকে আইএফএ শিল্ডে খেলবে মোহনবাগান। গত শনিবার সন্ধেয় চিঠি পাঠিয়ে আইএফএকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সিনিয়র দলই শিল্ড খেলবে। প্রথম দলের একাধিক ফুটবলার জাতীয় শিবিরে চলে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে শিল্ডে খেলতে চায়নি মোহনবাগান।
কোচ হোসে মোলিনার সঙ্গে আলোচনা করে ম্যানেজমেন্ট। মোলিনা শিল্ড খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই টুর্নামেন্টেকে সুপার কাপের প্রস্তুতি হিসেবে নিতে চান মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গল, গোকুলাম, নামধারী এফসির খেলা নিশ্চিত। খেলতে পারে পাঞ্জাব এফসিও। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে সচিব অনির্বাণ দত্তের। সুতরাং, শিল্ডেই আরও একটি ডার্বি হতে পারে। নিজেদের মাঠ, কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এবং যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের ম্যাচ খেলতে চায় মোহনবাগান।
