আজকাল ওয়েবডেস্ক: থেমে গেলেন লক্ষ্য সেন। প্রথম রাউন্ডেই। ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেলেন লক্ষ্য সেন। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় শি ইউকি–র কাছে ১৭–২১, ১৯–২১ গেমে হেরেছেন তিনি। ম্যাচটি চলেছে ৫৪ মিনিট ধরে। দুই সেটেই লক্ষ্য লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। তবে শি–এর টেকনিক্যাল দক্ষতার কাছে হার মানতে বাধ্য হন।
 
 ২০২১–এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লক্ষ্য। অন্য দিকে, ২০১৮–তে রুপো পেয়েছিলেন শি। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন। ফলে ড্রয়ের পরেই বোঝা গিয়েছিল লক্ষ্যের লড়াই কঠিন হবে।
 
 ম্যাচের প্রথম পয়েন্ট পেয়েছিলেন লক্ষ্যই। তবে পরিচিত ক্রসকোর্ট স্ম্যাশে সমতা ফেরান শি। চতুর্থ গেমে ৪৭ শটের র্যালি হয়। লক্ষ্যের রক্ষণ ভালই ছিল। মিডকোর্ট থেকে র্যালি ভাল পরিচালনাও করছিলেন। কিন্তু দক্ষতা দেখিয়ে পয়েন্ট নিয়ে যান শি। এর পর চিনের খেলোয়াড় ক্রমশই এগিয়ে যেতে থাকেন। ৬–১০ পিছিয়ে থাকাকালীন টানা তিনটি পয়েন্ট পেয়েছিলেন লক্ষ্য। এক সময় ১১–১১ করে ফেলেন।
 
 তার পর আবার ম্যাচ নিজের দখলে নিয়ে নেন শি। টানা পাঁচটি পয়েন্ট জেতেন। সেখান থেকেও লক্ষ্য ১৬–১৭ করে ফেলেছিলেন। তবে সেট জিততে পারেননি। নেটে বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে জেতেই শি।
আরও পড়ুন: টেস্ট খেলা বড্ড বোরিং! অবসরের পর এ কী বললেন হিটম্যান?
 
 দ্বিতীয় সেটের শুরু থেকে সমানে–সমানে লড়াই চলতে থাকে। কখনও লক্ষ্য এগোচ্ছিলেন, কখনও শি। লক্ষ্য ৭–১১ পিছিয়ে পড়ার পর কিছুতেই বিপক্ষকে ছুঁতে পারছিলেন না। সেটের একদম শেষ দিকে মরিয়া লড়াই করে ১৯–১৯ করে ফেলেন। তবে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে পর পর দু’টি পয়েন্ট জিতে বাজিমাত করেন শি।
 
 খালি হাতে ফিরতে হল লক্ষ্যকে।
এদিকে, টি২০ আন্তর্জাতিকের পর টেস্ট থেকেও অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। আপাতত ক্রিকেট থেকে এখন অনেকটাই দূরে রয়েছেন। তবে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। এরই ফাঁকে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাট নিয়ে ‘নস্টালজিক’ হিটম্যান। টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি ‘চ্যালেঞ্জিং’ আর ‘ক্লান্তিকর’ও বলেছেন। কীভাবে এর মোকাবিলা করতে শিখেছেন, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
 
 রোহিত বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট লম্বা সময়ের খেলা। ভাল প্রস্তুতি ছাড়া টেস্ট খেলা সম্ভব নয়। এখানে আপনাকে পাঁচ দিন ধরে খেলতে হবে। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে থাকতে হবে। টেস্ট খেলার জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হয়। যা খুবই চ্যালেঞ্জিং। একই সঙ্গে ক্লান্তিকরও। এর জন্য মানসিকভাবে সতেজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত ক্রিকেটারই কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছে।’
রোহিতের সংযোজন, ‘যখন আমরা প্রতিযোগিতামূলক স্তরে ক্রিকেট খেলতে শুরু করি, তখন থেকেই আমাদের প্রস্তুত করা হত। এমনকী মুম্বইয়ে ক্লাব ক্রিকেট ম্যাচ দুই অথবা তিন দিন ধরে চলে। তখনও আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিই। খুব ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে এভাবে শেখানো হয়। ফলে ভবিষ্যতে আসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কিছুটা সহজ হয়ে যায়।’
