আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে অসংখ্য রেস্তোরাঁ রয়েছে। সাধারণত গ্রাহকদের জন্য খাবার পরিবেশন করলেও কিছু রেস্তোরাঁ জনসাধারণের কাছে প্রিয় স্থান হয়ে ওঠে। যেই কারণেই হোক না কেন, কিছু রেস্তোরাঁ খুব সফল এবং বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ভারতে। এরকমই একটি খাবারের দোকান হল হরিয়ানার মুর্থালের আম্রিক সুখদেব ধাবা। যা দিল্লি-এনসিআরের বাইরেও গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

১৯৫৬ সালে সরদার প্রকাশ সিং কর্তৃক আম্রিক সুখদেব ধাবা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মূলত ট্রাক চালকদের চাহিদা মেটানোর জন্য। বর্তমানে তাঁর ছেলে আম্রিক সিং এবং সুখদেব সিং এটির দেখাশোনা করেন। এই ধাবাটিতে প্রথমে ডাল রুটি, সবজি এবং ভাতের মতো সাধারণ খাবার খাটের উপর পরিবেশন করা হত।  গোড়াপত্তনের পর থেকেই ধাবাটি উত্তর ভারতীয় এবং দক্ষিণ ভারতীয় সুস্বাদু খাবারের একটি বহুমুখী স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে। চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল-সহ অনেক আন্তর্জাতিক খাবারও রয়েছে তালিকায়।

১৯৯০ সাল নাগাদ দুই ভাই ভ্রমণকারীদের জন্য ধাবাটিকে একটি আকর্ষণীয় স্থান করে তোলার জন্য এতে বিনিয়োগ করেছিলেন এবং ২০০০ সালে একটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করে আধুনিক চেহারা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই পাঞ্জাব এবং হিমাচলে ভ্রমণকারী উচ্চবিত্ত গ্রাহকরা ক্রমশ এই ধাবার গ্রাহক হতে শুরু করেন। 

আম্রিক সুখদেব ধাবা বিশ্বের সেরা ১০০টি আইকনিক রেস্তোরাঁর তালিকায় স্থান পেয়েছে। ইনস্টাগ্রামে একজন ইনফ্লুয়েন্সার রকি সাগু ক্যাপিটাল ধাবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি তাঁদের ব্যবসায়িক মডেল সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং কিছু আকর্ষণীয় তথ্য শেয়ার করেছেন।

রকি দাবি করেছেন, ধাবাটি রোজ প্রায় ১০ হাজার গ্রাহককে খাবার পরিবেশন করে থাকে। এর বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ৫০০-এর উপর কর্মী কাজ করেন ধাবাটিতে। রকি উল্লেখ করেছেন যে আম্রিক সুখদেব গ্রাহকদের সাথে আস্থা অর্জন করেছেন। ট্রাক ড্রাইভার এবং ক্যাব ড্রাইভারদের বিনামূল্যে বা কম দামে খাবার পরিবেশন করতেন। এর ফলে একটি বিশ্বস্ত গ্রাহক ভিত্তি তৈরি হয়েছে। যা পরবর্তীতে আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

অসাধারণ সাফল্য সত্ত্বেও, আম্রিক সুখদেব ধাবা কখনও বিজ্ঞাপনের সাহায্য নেয়নি। কেবল গ্রাহকদের মুখের কথার উপর নির্ভর করেই তাদের এই সাফল্য।