আজকাল ওয়েবডেস্ক: দার্জিলিং বা শিলিগুড়ি গেছেন অথচ ভুটিয়া মার্কেটে যাননি এরকম বাঙালির সংখ্যা কিন্তু হাতে গুনে বলা যায়। কারণ, হাতে বোনা উলের তৈরি শীতের পোশাক পেতে একসময় এই মার্কেটে ছিল সমতলের বাঙালির এক বড় ভরসা। ফলে পাহাড়ে কেউ বেড়াতে গেলে তাঁর কাছে এই মার্কেট থেকে সোয়েটার, চাদর এনে দেওয়ার একাধিক আর্জি জমা পড়ত।
কারণ শীত পড়লেই দার্জিলিং ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে উলের পোশাক নিয়ে সমতল শিলিগুড়িতে নেমে আসতেন ভুটিয়ারা। এমন কী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটান থেকে এসেও উলের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসতেন ভুটিয়ারা। তাঁদের হাতে থাকত উল, কাঁটা। যা দিয়ে খরিদ্দারের পছন্দ অনুযায়ী দ্রুত বুনে দিতেন সোয়েটার। মূলত হাতে বোনা শীতের পোশাক কিনতেই এই মার্কেটে ভিড় করতেন ক্রেতারা। শীত শেষ হয়ে গেলেই ফিরে যেতেন ভুটিয়ারা তাঁদের ঘরে।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই বাজার এখন হাতে বোনা শীতের পোশাকের জায়গায় এসেছে রেডিমেড পোশাক। অতীত হয়ে গিয়েছে ভুটিয়া মহিলাদের ব্যস্ত হাতে একের পর এক সোয়েটার বুনে চলার দৃশ্য। ভুটিয়াদের জায়গায় এখন এই মার্কেটে বসছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর এবছর এই মার্কেট চালু হলেও বহু দোকানের ঝাঁপ এখনও বন্ধ। মার্কেট কমিটির সদস্য মংলু খান বলেন, ''আশা করা যায় দিন পাঁচেকের মধ্যেই বাকি দোকানগুলি খুলে যাবে।'' তাঁর আক্ষেপ, ''আগে হাতে বোনা পোশাক বিক্রি হলেও এখনকার ক্রেতারা সেই পোশাকের সঠিক মূল্য দিতে চায় না। পাশাপাশি দক্ষ কারিগরের অভাবে বাইরের ব্যবসায়ীরাও আসতে চায় না। এবার বেশিরভাগ দোকান চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। সিকিম থেকেও কিছু আসবেন। এই মার্কেটের ৮০ শতাংশ মালপত্র এখন আনা হয় দিল্লি বা হরিয়ানা থেকে।''
