আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর ভূয়ষী প্রশংসা করছেন। তিনি বলেন, ভারতের জন্য এই অভিযান একটি গর্বের মুহূর্ত। ভারতের ক্ষতির বিষয়ে বিদেশী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলির দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘ভারতীয় সম্পত্তি ধ্বংসের একটিও ছবি দেখাক তারা’।
শুক্রবার আইআইটি মাদ্রাসের ৬২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডোভাল। সেখান বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “২৩ মিনিটের এই অভিযানে সীমান্ত থেকে দূরে পাকিস্তানের ভfতরে ঠিক নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছিল।“ অভিযানটি কতটা নিখুঁত ছিল তার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডোভাল বলেন, “আমরা একটি হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। অন্য কোথাও আঘাত হানা হয়নি।“
#WATCH | Chennai, Tamil Nadu | Speaking on Operation Sindoor, at IIT Madras, NSA Ajit Doval slams the foreign media for their reportage on the operation.
— ANI (@ANI)
"Foreign press said that Pakistan did that and this...You tell me one photograph, one image, which shows any damage to any… pic.twitter.com/v13Pr8RuRfTweet by @ANI
অপারেশন সিঁদুরের পর বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করেছিল, এই অভিযানের পর ভারতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে পাকিস্তান। সেই প্রতিবেদনগুলিকে উল্লেখ করেই সংবাদমাধ্যমগুলিকে এর পরেই এক হাত নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তিনি বলেন,”আমাকে ভারতীয়দের ক্ষতির একটি ছবিও দেখান- এমনকি একটি ভাঙা কাচের টুকরো দেখান।“ ডোভাল আরও বলেন, “তারা এইসব লিখেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস... এবং প্রকাশ করেছে.. ছবিগুলিতে ১০ মে-এর আগে এবং পরে পাকিস্তানের মাত্র ১৩টি বিমান ঘাঁটি দেখানো হয়েছে, তা সে সারগোধা, রহিম ইয়ার খান, চাকলালা যা-ই হোক... আমি কেবল আপনাদের বলছি যে বিদেশী মিডিয়া ছবির ভিত্তিতে যা প্রকাশ করেছে... আমরা তা করতে সক্ষম (পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটির ক্ষতি)।“

তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা যে পরিমাণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি তাতে আমরা গর্বিত। অভিযানটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়েছিল এবং সীমান্তবর্তী এলাকার কাছাকাছি কোথাও ছিল না, বিদেশী মিডিয়া যা বলেছে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা।“
গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হানায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। প্রত্যাঘাতে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুলিকে ধ্বংস করা। সেই উদ্দেশ্য সফল হয় ভারতের। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর যৌথ অভিযানে ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল, বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদর দপ্তর এবং মুরিদকের লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র মূল ঘাঁটি।
আরও পড়ুন: রতন টাটার সংস্থা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করবে কবে? বড় ঘোষণা করলেন টিসিএস-এর আধিকারিক
জবাবে, পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে। পাকিস্তানের সবক’টি হামলা ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এর পাল্টা হামলাও চালায় ভারত। যার পরিণাম, ১১টি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকিস্তানের। এই অভিযানটি ভারতের সাম্প্রতিক বড় অভিযানগুলির মধ্যে একটি ছিল।
