আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) কর্তৃক পরিচালিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন সকলেই দেখেন না। কারণ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। তবে, এমন কিছু উচ্চাকাঙ্খীও আছেন যাঁরা আর্থিক দুর্বলতা সত্ত্বেও পরিবারকে সাহায্য করার পাশাপাশি আমলা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
ওড়িশার ঢেঙ্কানাল জেলার বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী শুভলক্ষ্মী পারিদা। উদাগাওঁ গ্রামের সিমিনাই এলাকাতে একটি জৈব চায়ের দোকান চালান তিনি। স্বপ্ন দেখেন আইএএস হওয়ার।
স্নাতক শেষ করার পর ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য টাকা বাঁচাতে শুভলক্ষ্মী মহাত্মা গান্ধী মার্গে একটি চায়ের দোকান খুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারকে সাহায্য করেন। তিনি একজন দিনমজুরের মেয়ে। তাঁর গল্প আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে। যখন তাঁর বয়সী মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং কনটেন্ট তৈরি করে সময় কাটান, তখন শুভলক্ষ্মী তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য একটি চায়ের দোকান চালান।
তার বাবার দৈনিক আয় ২৫০ টাকা এবং তাঁর মা ডায়াবেটিস রোগী। সে এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাতে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং তাঁর অসুস্থ মায়ের ওষুধের জোগান সময়মতো করতে পারেন।
শুভলক্ষ্মী বলেন, “আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমার মা একজন গৃহিণী। আমরা তিন ভাইবোন। বর্তমানে আমি তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। স্নাতক হওয়ার পর আমি আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখি। কঠোর পরিশ্রম করে আমার লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। কারণ আমার বিশ্বাস কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ছাড়া সাফল্যের কোনও শর্টকাট নেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা ছাড়া আমি পৃথিবীতে আর কিছুই চাই না।”
