আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজেকে শেষ করে দিলেন জনপ্রিয় বাংলা রকব্যান্ড 'ফসিলস'-এর প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলী বিশ্বাস। রবিবার ওয়েলিংটনের কাছে ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটে তাঁর বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

এ দিন চন্দ্রমৌলীর ব্যান্ডের অপর এক সদস্য মহুল চক্রবর্তী তাঁর দেহটি প্রথম দেখতে পান। চন্দ্রমৌলী তাঁকে দেখা করতে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তিনিই পুলিশ এবং প্রতিবেশীদের খবর দেন। বাড়িতে চন্দ্রমৌলীর পরিবারের কেউ ছিলেন না সেই সময় পরিবারের কেউ ছিলেন না বাড়িতে। একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। মহুল বলেন, ''বাড়িতে আসার আগে অনেকবার ফোন করার পরেও চন্দ্রমৌলী ফোন ধরেননি। ওঁর জন্য চিন্তা হতে শুরু হয়। বাড়িতে পৌঁছতেই চন্দ্রমৌলীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই। বাংলা সঙ্গীতজগতের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।''

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েক বছর ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলী। যে পেশায় ছিলেন সেখান থেকে তেমন আয় হচ্ছিল না তাঁর। সেই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে তাঁর এই পদক্ষেপের জন্য কাউকে দায়ী করেননি চন্দ্রমৌলী। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে শুরু করা হয়েছে।

প্রাক্তন সদস্যের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত ফসিলস-এর সদস্যরা। রবিবার কল্যাণীতে শো ছিল তাদের। ব্যান্ডের ম্যানেজার তথা রূপম ইসলামের স্ত্রী রূপসা দাশুগুপ্ত সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ''১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চন্দ্র আমাদের সঙ্গে কাজ করেছিল। ব্যান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। ব্যান্ডের সব সদস্য ভেঙে পড়েছেন। কী ভাবে শো করবেন তাঁরা জানি না।'' 

১৯৭৬ সালের ৫ জুন চন্দ্রমৌলির জন্ম। যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর আকর্ষণীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত 'ফসিলস'-এর সদস্য ছিলেন তিনি। যুবসমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। একটা সময় 'ফসিলস'-এর গায়ক রূপম ইসলাম জানিয়েছিলেন, চন্দ্র ব্যান্ড ছেড়ে দিলে তিনি 'ফসিলস' রাখবেন না। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে 'ফসিলস' ছেড়ে দেন চন্দ্রমৌলি। বর্তমানে গোলক এবং জম্বি কেজ কন্ট্রোল নামের দুই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রমৌলি।

(ছবি: ফেসবুক)