আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ১২ লক্ষ টাকা (বেতনভুক্তদের জন্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার) করেছে কেন্দ্রে। শনিবার বাজেট বক্তৃতায় এই কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্র হঠাৎ আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ১২ লক্ষ করা হল কেন? রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে সেই ব্যাখ্যা দিলেন অর্থমন্ত্রী।
তারঁ যুক্তি, সরকার প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয়ের মানুষের উপর করের বোঝা কমাতে আয়কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করেছে। সকল স্তরের আয়ের করদাতাদের স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ''সরকার মনে করে, কেউ যদি গড়ে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন তাহলে তাকে কর দিতে হবে না। আমরা দু'টি উপায়ে এটি অর্জন করছি। প্রথমত, আরও প্রগতিশীল কাঠামো তৈরি করার জন্য করের হার হ্রাস করে এবং দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন আয়ের মানুষকে আরও স্বস্তি দেওয়ার জন্য।''
তিনি আরও বলেন, "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কিছু শ্রেণীর মানুষকে কেবল কর ছাড়ের বাইরেও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া উচিত। তাই, একটি অতিরিক্ত ছাড় চালু করা হয়েছিল। করের হার হ্রাস সকলের জন্য প্রযোজ্য। কয়েকজন জন্য অতিরিক্ত ছাড় পাবেন। এর ফলে করদাতারা দ্বারা সঞ্চিত অর্থ নানা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ফিরে আসবে।"
কংগ্রেস জমানায় করের হারে তুলনা টেনে নির্মলা বলেন, “যদি আপনি ২০১৪ সালে কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে আমাদের কাজের তুলনা করেন, তাহলে বলা যায় যে, জনগণের হাতে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি সবসময়ই ছিল। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের আমলে যাঁরা ৮ লক্ষ টাকা আয় করতেন তাঁদের এখন প্রায় ১ লক্ষ টাকা বেশি সাশ্রয় হচ্ছে। ২০১৪ সালে তাঁদের কর দিতে হত ১ লক্ষ টাকা, এখন তা শূন্য। যাঁরা ১২ লক্ষ টাকা আয় করতেন তাঁদের ২ লক্ষ টাকা কর দিতে হত। এখন শূন্য। এর অর্থ করদাতাদের ২ লক্ষ টাকা বেশি সঞ্চয় হবে।'' এখানেই থামেননি অর্থমন্ত্রী। তাঁর সংযোজন, "সকলের জন্য কর কমানো হচ্ছে। যাঁরা ২৪ লক্ষ টাকা আয় করেন তাঁদের ২০১৪ সালে ৫.৬ লক্ষ টাকা কর দিতে হত। এখন মাত্র ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ২.৬ লক্ষ টাকা সাশ্রয়। সুতরাং, যাঁরা ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন শুধু তাঁরাই উপকৃত হবেন না, বরং যারা বেশি আয় করেন তাঁরাও উপকৃত হবেন।" সীতারামন আরও যোগ করেন।
