আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া আর্থিক অনুদান নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যে সব অনুদানের পরিমাণ ২০০০০ টাকার বেশি, তার ভিত্তিতেই এই তথ্য সামনে এনেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)। নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে আর্থিক হিসেব জমা দিয়েছে, সেই নথি বিশ্লেষণ করেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিজেপি অনুদান হিসাবে পেয়েছে ২২৪৪ কোটি টাকা! যা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের অনুদানের তিনগুণ। 

অন্যদিকে, বিজেপির থেকে এনেকটা পিছিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে ২৮৮.৯ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবর্ষে অনুদানের পরিমাণ ছিল ৭৯.৯ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছে ১৩০০ কোটি টাকা। যেখানে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৭১ কোটি। 

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী,  প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট থেকে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ৭২৪ কোটি টাকা। এই ট্রাস্ট থেকেই কংগ্রেসের কাছে পৌঁছেছে ১৫৬ কোটি টাকা। বিজেপি ট্রায়াম্ফ ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট থেকে পেয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস দলের নেতা সনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি ভেনুগোপাল রাও এবং দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো নেতাদের থেকে অনুদান পেয়েছে। অনুদানের যে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ইলেক্টোরাল বন্ড নেই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ডকে বেআইনি ঘোষণা করে।

কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস পেয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদান। বিআরএসের ঝুলিতে এসেছে ৫৮০ কোটি টাকা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) অনুদান বাবদ পেয়েছে ১১ কোটি টাকা। সিপিএম পেয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। 

২০২৩-২৪ সালে শীর্ষ দাতাদের মধ্যে রয়েছে, ডিএলএফ (১০০ কোটি), আর্সেলর মিত্তল (৭৫ কোটি), মারুতি সুজুকি (৬০ কোটি), মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০ কোটি), হেটেরো ল্যাবস (৫০ কোটি), অ্যাপোলো টায়ারস (৫০ কোটি), ভারতী এয়ারটেল (৫০ কোটি), সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নেতৃত্বাধীন আরপিএসজি গ্রুপ (১০ কোটি), এবং হলদিয়া এনার্জি (১০ কোটি)।