আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের বিমান দুর্ঘটনা। সোমবার ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ বিমানটি একটি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ জাহেদ কামাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৬০ জন। আহতদের বেশির ভাগই পড়ুয়া। ঘটনাস্থলে চলছে উদ্ধারকাজ। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা।
সোমবার দুপুরে ১টা ৬ মিনিটে উড়ানের পরেই ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাসে বিমানটি ভেঙে পড়ে। স্কুলটিতে সেই সময় শিশুরা উপস্থিত ছিল। টেলিভিশন ফুটেজে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগুন এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ১টা ২২মিনিট নাগাদ দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত F-7 BGI বিমানটি বায়ুসেনার। দমকল কর্মকর্তা লিমা খান জানিয়েছেন, কমপক্ষে একজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। যদিও তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি।
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, “রাজধানীর দিয়াবাড়়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।“
তিনি আরও বলেন, “এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ প্রদান করছি। সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।“
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সময় টিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় একজন পাইলট-সহ পাঁচ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
