আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবার আন্দোলনে গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশন। আলাদা রাজ্য হিসাবে কোচবিহারে স্বীকৃতির দাবিতে রেল অবরোধ কর্মসূচিতে নামল সংগঠন। অনির্দিষ্টকালের এই অবরোধের কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি-গৌহাটি বন্দে ভারত, গৌহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত, বঙ্গাইগাঁও-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস এবং নিউ জলপাইগুড়ি-বঙ্গাইগাঁও এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ডিব্রুগড়-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার তৃণাচল এক্সপ্রেস, গৌহাটি-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যার রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাত থেকেই হাজারো কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিতি হয়েছিলেন আসাম-বাংলা সীমান্তবর্তী জোড়াই স্টেশনে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ কর্মসূচি। যার ফলে বেশিরভাগ ট্রেন আটকে থাকছে নিউ কোচবিহার এবং নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের মধ্যে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার বংশীবদন বর্মন বলেন, ''মূলত একটি দাবিকে সামনে রেখেই তাদের এই কর্মসূচি। কোচবিহার 'গ' শ্রেণীর রাজ্য। অবিলম্বে তা স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ১৯৫০ সালে ভারতভুক্তির চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার যখন পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসেবে বিবেচিত হয় সেই সময় কোচবিহারের উন্নয়ন সহ কোচবিহার বাসীর উন্নয়ন নিয়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার অন্যতম প্রধান হল কোচবিহার কে সি ক্যাটাগরির রাজ্য হিসেবে নির্দেশ করা।'' কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রের। তাই পুনরায় সেই দাবিকে সামনে রেখে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এ ভাবেই আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। পাঁচ দিনের চলেছিল সেই কর্মসূচি। কিন্তু তা সফলতা পায়নি। দিন গড়ালে পরিস্থিতি কোন দিকে পৌঁছবে তা বোঝা যাবে। সেই সময় পুলিশের সাথে খন্ডযুদ্ধের পরে অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল সংগঠনের নেতৃত্বরা, এক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে চিন্তার কারণ।
