আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ ২১শে জুন, বিশ্ব যোগ দিবস। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ যোগাসনের মাধ্যমে উদযাপন করছেন সুস্থ জীবনযাপনের এই প্রাচীন ভারতীয় দর্শনকে। কিন্তু সমাজে এমন বহু মানুষই আছেন যাঁরা যোগাভ্যাস শুরু করতে চান, কিন্তু কঠিন আসনের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। অথচ জানলে অবাক হবেন, যোগাভ্যাস করার জন্য জটিল বা কঠিন আসন দিয়ে শুরু করার প্রয়োজন নেই। সহজ কয়েকটি আসনেই হতে পারে মুশকিল আসান।
১. তাডাসন
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যে যে আসন করা হয়, তার ভিত্তি হল তাডাসন। এটি দেখতে সহজ মনে হলেও, শরীরের সঠিক ভঙ্গি বা ‘পশ্চার’ ঠিক করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কীভাবে করবেন? সোজা হয়ে দুই পা সামান্য ফাঁক করে দাঁড়ান। হাত দু’টি শরীরের দু’পাশে স্বাভাবিকভাবে রাখুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত কাঁধ বরাবর তুলে মাথার উপর নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। পায়ের গোড়ালিতে ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে টানটান করুন। মনে হবে, আপনার শরীর যেন একটি পর্বতের মতো স্থির ও দৃঢ়। এই অবস্থায় ২০-৩০ সেকেন্ড থেকে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
উপকারিতা: এই আসনটি মেরুদণ্ড সোজা রাখতে সাহায্য করে। পায়ের পেশি শক্তিশালী করে এবং শরীরে ভারসাম্য ও স্থিরতা আনে।
২. ভুজঙ্গাসন
অফিস কর্মচারীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী একটি আসন। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তাঁদের শিরদাঁড়া এবং পিঠের জন্য এই আসনটি আশীর্বাদের মতো।
কীভাবে করবেন? উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুটি পা জোড়া রেখে মাথা সোজা রাখুন। হাতের তালু কাঁধের নিচে নামিয়ে মাটিতে রাখুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে কোমরে চাপ না দিয়ে, শুধুমাত্র বুকের শক্তিতে শরীরকে উপরের দিকে তুলুন, নাভি পর্যন্ত। মুখ উপরের দিকে থাকবে। সাপের ফণা তোলার মতো দেখতে লাগে বলে এর নাম ভুজঙ্গাসন। ১০-২০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থেকে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নিচে নামুন।
উপকারিতা: এই আসনটি শিরদাঁড়াকে নমনীয় করে, পিঠের ব্যথা কমায়, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. শবাসন
সব আসনের শেষে শরীর ও মনকে সম্পূর্ণ শিথিল করার জন্য এই আসনটি অপরিহার্য।
কীভাবে করবেন: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই পায়ের মধ্যে এক থেকে দেড় ফুট দূরত্ব রাখুন। হাত দু’টি শরীর থেকে সামান্য দূরে রাখুন। চোখ বন্ধ করে শরীরকে সম্পূর্ণ শিথিল করে দিন। মনোযোগ দিন নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর। ৫ থেকে ১০ মিনিট এই অবস্থায় থাকুন।
উপকারিতা: এটি উচ্চ রক্তচাপ, উদ্বেগ এবং অনিদ্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এই আসনটি মস্তিষ্ককে শান্ত করে এবং শরীরে নতুন করে শক্তি জোগায়।
