আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো হয়। রাত পোহালেই এবারের সরস্বতী পুজোর দিন। স্কুল-কলেজে চলছে বিদ্যার দেবীর আরাধনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কচি-কাঁচা থেকে শুরু করে বড়রা, সকলেরই সরস্বতী পুজো নিয়ে উন্মাদনা থাকে। আর এই দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরার চল রয়েছে। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে হলুদ শাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবিতে সেজে ওঠেন সকলে। কিন্তু কেন এই দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরার রীতি জানেন?
আসলে সরস্বতী পুজোর সঙ্গে হলুদ রঙের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। হিন্দু ধর্মে কথিত রয়েছে, হলুদ বাগদেবীর প্রিয় রঙ। পুজোর আগে দেবীর আসনে হলুদ রঙের কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। সরস্বতীকে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করার রীতি রয়েছে। দেবী সরস্বতীর পছন্দের রং হলুদ বলেই এই রঙের পোশাক পরে তাঁর আরাধনা করার রীতি রয়েছে।
হলুদ রঙকে শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, হলুদ ফুল দিয়ে ঘর সাজালে পজিটিভ এনার্জি থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, হলুদ রঙ সুখ, শান্তি দেয়। এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবেও হলুদ রঙ মানসিক চাপ দূর করে মনে শান্তি আনে। আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে হলুদ রং। শুভ রং হিসাবেই বিয়ের আগে গায়ে হলুদেরও রীতি রয়েছে।
আবার অন্যদিকে, শীতে শেষে বসন্ত কালের শুরুতে হয় বসন্ত পঞ্চমী। পাতা ঝরার মরশুম শেষে ফের সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে কচি পাতা গজায়। সর্ষে ক্ষেতও ঢাকা পড়ে হলুদ চাদরে। ফলে বসন্তের সঙ্গে হলুদের মতো ভাইব্র্যান্ট রঙের যোগ রয়েছে। তাই বসন্তের প্রথম উৎসব অর্থাৎ সরস্বতী পুজো সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছে হলুদ রং। এককথায় হলুদ রঙকে বসন্তের শুরু বলে মনে করা হয়।
