আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন কম-বেশি সকলে। নেপথ্যে দূষণ, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অযত্ন সহ নানা কারণ। আর শীতকালে এই সমস্যা বাড়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় থেকে সারা শীতকাল জুড়ে চুল পড়ার সমস্যা যেন কমতেই চায় না! কেন বলুন তো? কীভাবেই বা কমাবেন চুল পড়া? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
আচ্ছা, কখনও ভেবে দেখেছেন চুল পড়া কি স্বাভাবিক? আসলে এই কথা আংশিকভাবে সত্যি। কারণ, মাথায় চুল ঝরে গিয়ে আবার নতুন করে চুল গজাবে। এটা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, দিনে ৫০-১০০টা পর্যন্ত চুল পড়া একেবারেই স্বাভাবিক। কখনও কখনও এই সংখ্যার হেরফের হতে পারে। তবে এই সংখ্যার থেকে যদি বেশি চুল পড়ে, তাহলে একটু চিন্তা কারণ আছে বই কি!
বাংলার মতো জায়গায় আবহওয়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ সারা বছরই খুব বেশি থাকে। তবে শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। হঠাতই কমে যায় বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা। যার প্রভাব পড়ে ত্বক, চুলের উপর। ত্বক যেমন তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারাতে থাকে। কমে যায় স্ক্যাল্পের আর্দ্রতাও। স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত চুল উঠতে থাকে। এছাড়াও স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে খুশকি সহ নানা ইনফেকশনও হতে পারে। তাই ঠান্ডার মরশুমে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
এছাড়াও চুল ওঠার পিছনে থাকতে পারে আরও অনেক কারণ। হরমোনের ভারসাম্যে হঠাৎ পরিবর্তনে চুল উঠতে পারে। এই কারণেই গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের পর কিংবা মেনোপোজের পরবর্তী সময়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নির্দিষ্ট কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণেও চুল উঠতে দেখা যায়। অত্যাধিক দুশ্চিন্তা, আয়রন, ভিটামিনের অভাবেও চুল পড়ে। আবার চুল পড়ার অন্যতম কারণ জিনগত হতে পারে।
চুল পড়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে নিয়মিত কয়েকটি টোটকা মেনে চলুন। যেমন-
স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে স্ক্যাল্প ক্লিনজিং করুন।
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম লাগাতে ভুলবেন না। নাহলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যাবে।
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় তেল মালিশ করতে পারে। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। তবে স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে তেল না লাগানোই শ্রেয়।
চুল ঝলমলে রাখতে প্রোটিন হেয়ার প্যাক লাগান সপ্তাহে একদিন।
