আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ততার জীবনে অন্য কোনও শরীরচর্চা করার সময় না থাকলেও প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা হল সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এক্সারসাইজ। ওজন কমাতে অনেকেই নিয়ম করে মর্নিং ওয়াকে বেরোন। কেউ একেবারে ভোরবেলা হাঁটতে যান, কারওর আবার রোদ ওঠার পরই হাঁটা পছন্দ। কিন্তু সকালে ঠিক কোন সময়ে হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। কারণ ভুল সময়ে হাঁটলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সকালে হাঁটলে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না, সর্দি-কাশি হওয়ার ঝুঁকি কমে। গবেষণা অনুসারে, সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটা ৪৩ শতাংশ অসুস্থতার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে সকালে হাঁটা হৃদস্পন্দন বাড়ায়, ফলে রক্তচাপ কমে। বেশ অনেকদিন নিয়মিত মর্নিং ওয়াত করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ফলে সার্বিকভাবে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ভোরে হাঁটা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। বয়স যাই হোক না কেন, সকালে কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট হাঁটলে বুদ্ধির বিকাশও ভাল হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৭১ থেকে ৯৩ বছর বয়সীরা প্রতিদিন সকালে এক চতুর্থাংশ মাইলেরও বেশি হাঁটলে প্রচুর উপকার পেতে পারেন। কারণ এটি ডিমেনশিয়া এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কম হাঁটলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে হাঁটা মন এবং শরীরের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। হাঁটা মেজাজ ভাল রাখতেও সাহায্য করে। আর এই সমস্ত উপকারিতা পেতে পারেন যদি সকালে সঠিক সময়ে হাঁটেন। 

সকালে হাঁটার জন্য কোন সময় ভাল, তা কোনও ব্যক্তির উপর নির্ভর করতে পারে। আদর্শগতভাবে, যারা শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁরা সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে হাঁটতে পারেন। গরমকালে ওই সময়ে তাপমাত্রা কম থাকে। তবে শীতকালে সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে হাঁটলে পারলে ভাল। এতে সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এরও জোগান দেবে।