আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদলেছে জীবনযাপনের ধরন। বদল এসেছে সম্পর্কের সমীকরণেও। কর্মব্যস্ততার জীবনে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সেই ভার সামলাতে গিয়ে আলগা হচ্ছে সম্পর্কের বাঁধন। আর সেই জায়গাতেই দম্পতিদের জীবনে থাবা বসাচ্ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’।অর্থাৎ এক ছাদের তলায় থেকেও আলাদা বিছানায় রাত্রিযাপন। গোটা বিশ্বে তো বটেই, ভারতেও ক্রমশ ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা ঘুমের সময়ে আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে।

কী এই স্লিপ ডিভোর্স

'স্লিপ ডিভোর্স' বলতে বোঝায়, যখন দম্পতিরা একই বাড়িতে থেকেও আলাদা ঘরে বা বিছানায় ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি প্রায় ৩০ হাজার যুগলকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, ভারতের মধ্যে স্লিপ ডিভোর্সের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। আর কোরিয়া তৃতীয় স্থানে।  তুলনামূলকভাবে আমেরিকা, ব্রিটেনে স্লিপ ডিভোর্সের হার কিছুটা কম।

স্লিপ ডিভোর্সের কারণ

•    সঙ্গীর নাক ডাকার কারণে অনেকে আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেন।
•    ভিন্ন ঘুমের সময়সূচি হলে অর্থাৎ যদি স্বামী-স্ত্রী আলাদা সময়ে ঘুমান তাহলেও স্লিপ ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন অনেকে।
•    ঘুমের মানকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনও ব্যাঘাত ঘটলেও আলাদা ঘুমাচ্ছেন দম্পতিরা। 

স্লিপ ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুয়ায়ী, একসঙ্গে ঘুমানোর চেয়ে আলাদা ঘুমালে প্রায় ৫৩ শতাংশ দম্পতির ভাল ঘুম হচ্ছে। স্লিপ ডিভোর্সের পথে হাঁটলে গড়ে ৩৭ মিনিট বেশি ঘুম হচ্ছে। তবে, এটির কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। আলাদা ঘুমানোর ফলে দম্পতিদের মধ্যে আবেগগত দূরত্ব বাড়তে দেখা গিয়েছে, যা প্রভাব ফেলছে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিলে দম্পতিদের মধ্যে যোগাযোগ যেন অটুট থাকে, একসঙ্গে সময় কাটানোও গুরুত্বপূর্ণ। 

সর্বোপরি, স্লিপ ডিভোর্স একটি ব্যক্তিগত পছন্দ। যা দম্পতিদের ঘুমের মান ও সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। আর এই পদ্ধতি অনুসরণের আগে দম্পতিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।