আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাইশ গজের দুনিয়ায় তিনি বরাবরই চর্চিত। ঝোড়ো ব্যাটিং হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, প্রশংসা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বিরাট কোহলি। মঙ্গলবার ৩৬ বছরে পা দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক। খাতায় কলমে মধ্য ত্রিশের যাত্রাপথে থাকলেও বিরাটের ফিটনেস দেখে তা বোঝার উপায় নেই।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছেন বিরাট। এখন একদিনের ক্রিকেট আর টেস্ট ম্যাচের দিকেই তাঁর পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ। ৩৬ বছর বয়সে অ্যাথলেটরা যেখানে বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন, কিন্তু বিরাটের ফিটনেসে একেবারে ছেদ পড়েনি। কী এমন রহস্য রয়েছে?
আসলে বরাবরই ডায়েট, ফিটনেস নিয়ে সচেতন অনুষ্কা শর্মার স্বামী। নিজের প্রিয় খাবারও তিনি বাদ দিয়েছেন খাদ্যতালিকা থেকে। কোহলি এখন পুরোপুরি নিরামিষভোজী। ইতিমধ্যে এই ডায়েটেই শরীরকে মানিয়েও নিয়েছেন। প্রায় ৯০ শতাংশ খাবারই সেদ্ধ অথবা ভাপা খান বিরাট। কোনও প্রকার মশলা, ঝোলজাতীয় খাবার থাকে না তাঁর ডায়েটে। ডালের মধ্যে রাজমা, কালো মটর বেশ পছন্দের। বিরাটের বেশিরভাগ খাবার নুন, গোলমরিচ, লেবু দিয়েই রান্না করা হয়। আসলে স্বাদের ব্যাপারে প্রাক্তন অধিনায়কের তেমন একটা বাছাবাছি নেই। মাঝে মাঝে যে একেবারে বাঁধা ধরা নিয়ম ভাঙেন না, এমনটা নয়। সুযোগ পেলেই ছোলা বাটোরা স্বাদ নেন ক্রিকেটার।
আসলে নিজেকে ফিট রাখার জন্য অনেকেই শরীরচর্চা করেন। কিন্তু খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করায় ফিট থাকার সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যায়? আর এক্ষেত্রেই নিজের ডায়েট নিয়ে বরাবর কড়া বিরাট কোহলি। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে নিজের রুটিন নিয়ে কোহলি বলেছিলেন, ‘জিমে গিয়ে নিয়ম মেনে যে কেউ শরীর বানাতে পারে। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। খাবারের ভাল লাগা, স্বাদ, পছন্দ একেক জনের একেক রকম। যা সম্পূর্ণ টেস্টবাডের সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরকে ফিট রাখতে হলে শুধু নিজের পছন্দ নয়, শরীরের জন্য কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ, সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’
