আজকাল ওয়েবডেস্ক: জন্ম কোরিয়ায় কিন্তু আজ সারা বিশ্বের রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়েছে কিমচি। ঝাঁঝালো অথচ স্বাস্থ্যবান্ধব খাবার, এই খাবারটি মূলত গাঁজন বা ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় বাঁধাকপি, লঙ্কা, রসুন, আদা, নুন ও নানা মশলার মিশ্রণে তৈরি হয়। কিমচি শুধু স্বাদের জন্য নয়, আজকাল স্বাস্থ্য সচেতনদের পাতেও জায়গা করে নিচ্ছে অজস্র উপকারিতার জন্য।
গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত কিমচি খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বীর্যপাতে মৃত্যু! শুক্রাণু দান করার নেশায় ডাক্তারি পড়ুয়ার করুণ পরিণতি জানলে চোখে জল আসবে
১. হজমে সহায়ক
কিমচি একটি প্রকৃত ‘প্রোবায়োটিক’ খাদ্য। গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়ার ফলে এতে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত কিমচি খেলে বদহজম, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার উপশম হয় এবং হজমতন্ত্র সচল ও সুস্থ থাকে।

২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার কিমচি। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অকারণে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা নিয়মিত কিমচি খান, তাঁদের মেটাবলিজম বা বিপাক হার তুলনামূলকভাবে বেশি সক্রিয় থাকে। এর ফলে শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রসুন, আদা, লঙ্কা, পেঁয়াজের মতো উপাদান কিমচিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। সেই সঙ্গে গাঁজন থেকে তৈরি হওয়া প্রোবায়োটিক শরীরকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। বিশেষ করে মরসুম বদলের সময় ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে কিমচি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

তবে কিমচি খাওয়ার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—এতে সোডিয়ামের (নুন) পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়।