আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনে এসেছে বেশ কিছু বদল। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাস, ধূমপান, শরীরচর্চায় অনীহা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ। এমনই একটি অসুখ হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। আজকাল কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। 

অতিরিক্ত মদ্যপান এবং কয়েকটি ওষুধের খাওয়ার জন্য যকৃতে অবাঞ্ছিত মেদ জমে। যাকে বলা হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কিন্তু যখন এই দুই কারণ ছাড়াই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেই রোগকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র ফ্যাটি লিভার অসুখ হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণব্যাধি। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত জটিলতা হওয়ার একাধিক কারণ আছে৷ গবেষণা বলছে, নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। আর যে ভিটামিনের অভাবে ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি তা হল ভিটামিন ডি৷ তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রাখা জরুরি।

শুধু ফ্যাটি লিভার নয়, ভিটামিন ডি-এর অভাবে হতে পারে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাও। সারা শরীরে বিশেষ করে তলপেটে মেদ জমে। এমনকী গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়দের মধ্যে মহামারির মতোই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷ শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, ব্লাড সুগারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে।

ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে ভাল উৎস সূর্যের আলো। তাই শীতে রোদ পোহাতে ভুলবেন না৷ এছাড়াও ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ, মাংসের মেটে, মাশরুম সহ বেশ কিছু খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে৷ নিয়মিত এই সব খাবার ডায়েটে রাখতে চেষ্টা করুন।