কখন মৃত্যু আসবে, কবে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করব, ইত্যাদি... এমন হাজারো প্রশ্ন অনেক সময়ই মাথায় ভিড় করে আসে। কেন? কারণ একটাই, যাতে শেষ মুহূর্তটুকু কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে কাটানো যায়, যে কাজ বাকি সেটা যাতে অন্য কাউকে বলে রাখা যায়। কিন্তু মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হলেও, কবে, কখন, কোথায় ওত পেতে বসে আছে, অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবনদীপ নিভিয়ে দেবে কেউ জানে না! কিন্তু জানেন কি এই ৩ লক্ষণ বুঝিয়ে দেবে যে শিয়রে যম দাঁড়িয়ে। হাতে আর বেশি সময় নেই। কী সেই লক্ষণ, চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

সম্প্রতি হসপাইস ফাউন্ডেশন অফ আমেরিকা এবং ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের তরফে একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে এই লক্ষণগুলো দেখলেই বোঝা যাবে মৃত্যু আসন্ন। লক্ষণগুলোর মধ্যে শ্বাসের ধরন বদলে যাওয়া থেকে ত্বকের রং বদলে যাওয়া থাকে। এই লক্ষণগুলোই বলে দেয় যে শরীর শেষের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। না, বিষয়টা মোটেই ভয়ের নয়, বরং প্রস্তুতির। নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে আরও কিছুটা সময় কাটানোর। 

মৃত্যু আসন্ন হলে শরীর যে লক্ষণগুলো দেয় তার অন্যতম হল শ্বাস নেওয়ার ধরন বদলে যাওয়া। হসপাইস ফাউন্ডেশন অফ আমেরিকার তরফে এক গবেষণায় জানানো হয়েছে শেষ সময় ঘনিয়ে এলে শ্বাস ঘন হয়ে আসে, অনিয়মিত হয়ে পড়ে। গভীর শ্বাস নেওয়া, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, তারপর কিছুক্ষণ একদম শ্বাস না নেওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় মৃত্যুর আগে। স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখলে বুঝবেন সময় হয়ে এসেছে। 
মৃত্যুর আগে যেহেতু হার্ট ধীর হয়ে যায়, রক্তের সার্কুলেশন কমে যায় সেহেতু ত্বকেও বেশ কিছু বদল দেখা যায়। এই লক্ষণগুলো কিন্তু মোটেই খারাপ থাকার লক্ষণ নয়। বরং শরীর যে তার অবশিষ্ট শক্তিকে বাঁচিয়ে রাখছে আর কিছুক্ষণের জন্য, সেটারই ইঙ্গিত। স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু আসলে এই লক্ষণ দেখা যায়। 

মৃত্যুর আগে যোগাযোগ ক্ষমতা হ্রাস পায়। কথা বলা বন্ধ করে দেন অনেকে। বা কারও কথায় সাড়া দেন না। অধিকাংশ সময় চোখ বন্ধ করে রাখেন। নিজেকে যেন সেই ব্যক্তি একটু একটু করে গুটিয়ে নেন চারপাশ থেকে। এটার মাধ্যমেই যেন শরীর প্রিয়জনদের থেকে সরে আসে, প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত হয়। 

নিকট আত্মীয়ের চলে যাওয়ার সময় পরিবারের সকলের জন্যই খুব কঠিন, কিন্তু তাও এই সময় শক্ত থাকা প্রয়োজন। যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে মারা যান এই লক্ষণগুলো তাঁদের মধ্যে দেখা যায়। আর এই লক্ষণ দেখে ভয় পাবেন না, বরং শান্ত থেকে তাঁর পাশে থাকুন। যতটা সময় সম্ভব তাঁকে দিন। যদি তাঁকে স্পর্শ করে দেন ছুঁয়ে থাকুন তাঁকে। যদি না দেন, তবে দূরত্ব রাখা ভাল।