ঘরকে সুগন্ধিত রাখলে শুধু সতেজভাবই বজায় থাকে না, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ে। অনেকেই আজকাল ঘরের সুবাসের জন্য সুগন্ধিত মোমবাতি, এয়ার ফ্রেশনার বা কেমিক্যালযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে এগুলের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সংস্পর্শ এলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরকে সুগন্ধিত রাখতে পারেন। এই সব প্রাকৃতিক পদ্ধতি যেমন রাসায়নিকমুক্ত তেমনই সাশ্রয়ীও। নিয়মিত এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে ঘর সতেজ, সুগন্ধিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত রাখা সম্ভব। রইল তেমনই সাতটি পদ্ধতির হদিশ

১. আসবাবপত্র ও বালিশ-চাদর নিয়মিত পরিষ্কার করুনঃ পোষ্য বা রান্নার গন্ধ শোষণ করতে পারে ঘরে থাকা বালিশ, চাদর, পর্দা এবং তোশক। তাই এগুলো নিয়মিত ধোয়া উচিত। হালকা সুগন্ধি ডিটারজেন্ট বা ফ্যাব্রিক কন্ডিশনার ব্যবহার করলে দীর্ঘদিন ঘর সতেজ থাকে।

২. শুকনো ফুল, লবঙ্গ ও স্টার অ্যানিস পাত্রে রাখুনঃ ছোট পাত্রে শুকনো ফুল, লবঙ্গ, স্টার অ্যানিস বা কফি বিন রাখলে ঘর প্রাকৃতিকভাবে সুগন্ধিত হয়। এতে কেবল ঘরের বাতাসই নয়, ভিজ্যুয়াল নান্দনিকতাও উন্নত হয়।

আরও পড়ুনঃ সকালে ঘুম ভাঙতেই কাশি? তিন কারণে হতে পারে মারাত্মক রোগের ইঙ্গিত! পুজোর সময়ে কোন লক্ষণ উপেক্ষা করলেই বিপদ?

৩. ঘরোয়া লিনেন স্প্রে বানানঃ স্প্রে বোতলে জল ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, গোলাপ বা সাইট্রাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে লিনেন স্প্রে তৈরি করুন। এটি পর্দা, বালিশ ও বিছানার চাদরে ব্যবহার করলে ঘর সতেজ ও সুগন্ধিত থাকে।

৪. রান্নাঘরে টাটকা ভেষজ রাখুনঃ রোজমেরি, পুদিনা, তুলসী বা অন্যান্য ভেষজ রান্নাঘরের জানালার কাছে রাখলে ঘর প্রাকৃতিকভাবে সুগন্ধিত হয়। পাশাপাশি এগুলো রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়।

৫. বেকিং সোডা ফ্রেশনার জার তৈরি করুনঃ একটি জারে বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ঢাকনা খোলা রেখে দিন। বেকিং সোডা ঘরের অপ্রিয় গন্ধ শোষণ করে আর এসেনশিয়াল অয়েল প্রাকৃতিক সুগন্ধ ছড়ায়।

৬. এসেনশিয়াল অয়েল ডিফিউজার ব্যবহার করুনঃ ডিফিউজারের মাধ্যমে ঘরে বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল ছড়ালে দীর্ঘ সময় ধরে ঘর সুগন্ধিত থাকে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ঘর সতেজ রাখার একটি সহজ পদ্ধতি।

৭. সিমার পট বানানঃ একটি পাত্রে জল, দারচিনি, লবঙ্গ, কমলালেবুর খোসা বা লেবু স্লাইস দিয়ে হালকা ফোটান। এই পানীয় ঘরের পরিবেশকে সুগন্ধিত এবং আরামদায়ক করে।