আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অফিসে কাজ করতে করতে প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তনয়া। বাড়িতে এসেও খিটখিট করতেই থাকেন। বরাবর হাসিখুশি বছর ২৫-এর তরুণীর ইদানীং কড়া ডায়েটের মধ্যে থেকেও ওজন বেড়েই চলেছে। কন্তু তেমন কোনও শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যাও নেই তাঁর। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে জানা গেল, ভিটামিনের ডি-এর ঘাটতিই যাবতীয় সমস্যার কারণ। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে আরও অনেক জটিলতা।

* ক্লান্তি- ভিটামিন ডি-এর খাটতি হলে প্রাথমিকভাবেই শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও যদি সারাদিন কাজে এনার্জি না পান, তাহলে ভিটামিন ডি পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
* হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা-ভিটামিন ডি-এর অভাবে বিশেষভাবে পিঠের নিচের দিকে, তলপেটে এবং পায়ে ব্যথা হতে পারে। যদি আপনি অসহ্য জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন তা ভিটামিন ডি-এর খাটতিতে হতে পারে।
* অনিয়মিত ঋতুস্রাবঃ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভিটামিন ডি-এর অভাব।যার প্রভাবে মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* পেশি দুর্বলতা- পেশি দুর্বল হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এই লক্ষণ খেয়াল করে থাকলে ভিটামিন ডি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
* অবসাদ ও ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন- মেজাজ ঠিক রাখতে ভিটামিন ডি-এর ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে ঘন ঘন মুড সুইং এবং অবসাদ ঘিরে ধরে। 
* বারে বারে অসুস্থ হয়ে যাওয়া- ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। তাই এর খাটতি হলে সর্দি, কাশি সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অসুস্থ হলে তার কারণ ভিটামিন ডি-এর খাটতি হতে পারে।
* চুল পড়া- বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। তবে তার একটি অন্যতম হল ভিটামিন ডি-এর খাটতি। আচমকা চুল পড়া বেড়ে গেলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন।
* হাড় ক্ষয়- ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। যা হাড় ক্ষয় রোধ করে। তাই ভিটামিন ডি-এর খাটতি হাড় ক্ষয়ের সঙ্গে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি থাকলেও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করে নিন।