আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের ডাক্তারির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আন্দোলনে মুখর কলকাতা। শুধু মহানগর নয়, প্রতিবাদে সামিল হয়েছে শহরতলি থেকে প্রত্যন্ত জেলার মানুষেরাও। বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক মিছিলে সামিল হয়েছেন সকলে। টানা হাঁটার ফলে পায়ে ব্যথা হতেই পারে। অভ্যেস না থাকলে হঠাৎ অনেকটা হেঁটে নিলে পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে ঠিক কী করণীয়? এক্ষেত্রে হুট করে পেইন কিলার খেয়ে নেবেন না। বরং কিছু অতি পরিচিত ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। 

পায়ে ব্যথা হলে এক টুকরো কাঁচা হলুদ জল দিয়ে খেতে পারেন। হলুদে রয়েছে অতি পরিচিত অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। তাই পায়ে ব্যথা হলে হলুদ খেলে উপকার মিলবে হাতেনাতে। কমবে ব্যথা-ফোলা। হলুদ ও তেল গরম করে ব্যথা জায়গায় লাগাতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন। 

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে আদার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত ব্যথা নিবারক হিসাবে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো পায়ে ব্যথা হলে যত দ্রুত সম্ভব এক টুকরো আদা কুঁচি চিবিয়ে বা জল দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। খানিকক্ষণের মধ্যেই আরাম পাবেন। বিশেষত, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিসর মতো রোগে আদা হল মহৌষধির সমান। 

রসুনের ব্যথা নিবারণকারী ক্ষমতা রয়েছে। তাই মিছিলে হাঁটার পর হুট করে পায়ে ব্যথা শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব এক কোয়া রসুন জল দিয়ে গিলে বা চিবিয়ে খেয়ে নিন। তাহলেই কিন্তু ব্যথা-ফোলা কমে যাবে। এছাড়াও এক বাটি তেলে ২-৩টি রসুন ফেলে তা গরম করে নিন। এরপর সেই তেল পায়ে ভাল করে পায়ে ম্যাসাজ করুন। তাহলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা গায়েব হয়ে যাবে।

ল্যাভেন্ডার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পেইনকিলারের মতো কাজ করে। তাই পায়ে খুব ব্যথা হলে ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করতে পারেন। এতে আপনার ব্যথা-ফোলা দ্রুত কমে যাবে। 

পায়ে খুব ব্যথা হলে যত দ্রুত সম্ভব বরফ সেক দিন। এই কাজটা করলেই দ্রুত গতিতে ব্যথা কমেবে। তবে একনাগাড়ে ১৫ মিনিটের বেশি সময় বরফ সেক দেবেন না। এক্ষেত্রে পেশির ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ে। তখন ব্যথা আরও বাড়বে বই কমবে না।