আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কথায় বলে, পেট ভাল থাকলে সব ভাল থাকে। পেটের সমস্যায় ভুগলে আরও অনেক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তালিকায় রয়েছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অরুচি, ডায়ারিয়া। তবে এই সবের মধ্যে সারা বছরই অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ইদানীং যেন এই সমস্যা আরও বেড়েছে। নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক, শরীরচর্চার অভাব সহ আরও অনেক কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাবার ও কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে- 

১. সকালে খালি পেটে গরম জলে লেবুর রস বা লেবুর টুকরো দিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে , পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। এছাড়া আদা চা বা আদা ফোটানো জল দিয়ে দিন শুরু করলেও পেটের সংক্রমণ ও প্রদাহকে দূর হয়। মুখ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত সমস্ত হজমের অঙ্গগুলিকে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এই জল। 
২. শশার অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পেট ফাঁপা, গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি দেয়। টক্সিনকে বার করে শরীরকে রাখে হাইড্রেট। একইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নির্মূল হয়। সকালে প্রথমেই শশার স্মুদি বা জলে শশা দিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যাও কমবে ।
৩. অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের প্রোবায়োটিক উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করুন। নিয়মিত খেলে মিটবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। 
৪. পরিমিত জল না খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। সারাদিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। 
৫. যে কোনও রকম দুশ্চিন্তা, অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধে জীবনযাপনে মানসিক চাপ কমাতে হবে। একইসঙ্গে ৭-৮ ঘুমানো প্রয়োজন। 
৬. সারাদিন বসে কাজ করলে মাঝে মাঝে হাঁটুন। শরীরকে সচল রাখুন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পেতে হাঁটা চলা করা অত্যন্ত জরুরি