উৎসবের মরশুমের সঙ্গে যেমন ওতঃপ্রোতভাবে ভূরিভোজ জড়িত, তেমনই রয়েছে উপোসেরও সম্পর্ক। অনেকেই পুজো-পার্বনের দিনে ব্রত পালন করেন।ষষ্ঠী হোক বা অষ্টমী- উপোসের রীতি মানার চল রয়েছে। আবার বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রেও ভোগ নিবেদন না হওয়া পর্যন্ত অনেকে উপোস করার নিয়ম মানেন। তবে উপোস করতে গিয়ে শরীরের বারোটা বাজালে চলবে না। সেক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেলেও কয়েকটি পানীয়তে চুমুক দিলে শরীর থাকবে চাঙ্গা।
১. ডাবের জলঃ নারকেলের জল হল প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক। এতে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজ শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে, হজমশক্তি ভাল করে এবং তৎক্ষণাৎ এনার্জি দেয়। ব্রত রাখার সময়ে দিনে অন্তত দু’বার এটি খেলে উপকার পাবেন।
২. ফল ও সবজির রসঃ টাটকা ফল ও সবজির রস শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। গাজর, বিট, আপেল বা কমলালেবুর জুস দুর্বলতা কাটাতে কার্যকর। তবে বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম মিষ্টি বা চিনি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে দামি ফেসিয়াল ছাড়ুন! ধাপে ধাপে ৫টি নিয়ম মানলেই বাঁচবে পার্লারের খরচ, তাক লাগাবে জেল্লা
৩. ঠান্ডা দইয়ের পানীয় (লস্যি)ঃ দই থেকে তৈরি লস্যি শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং পেট ভরার অনুভূতি দেয়। পুদিনা পাতা, ভাজা জিরাগুঁড়ো ও নুন লবণ মিশিয়ে খেলে লস্যি আরও স্বাস্থ্যকর করা যায়।
৪. অ্যালোভেরা রসঃ অ্যালোভেরা জুস শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয়, হজমতন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ত্বকেরও জেল্লা বাড়ায়। লেবুর রস মিশিয়ে এটি পান করলে স্বাদ আরও ভাল হয়।

৫. কমলালেবুর রসঃ কমলালেবু ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা শরীরে এনার্জি জোগায়, ক্লান্তি কমায় এবং হাড় ও ত্বকের জন্য উপকারী। ব্র পালনের সময়ে নিয়মিত কমলালেবুক রস খেলে শরীর সতেজ থাকে।
৬. আদা-লেবুর জলঃ গরম জলে আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ভাল হয়, দুর্বলতা কাটে এবং শরীর উষ্ণ থাকে। চাইলে এটি চা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
৭. হলুদ দুধ বা ভেষজ চাঃ হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। রাতে হলুদ দুধ খেলে ঘুম ভাল হয় এবং ক্লান্তি কমে। ভেষজ চাও একইভাবে শরীরকে শক্তি জোগায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয়গুলো সাধারণত নিরাপদ হলেও যদি কারওর শরীরে বিশেষ কোনও অসুখ বা অ্যালার্জি থাকে, তবে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়া চিনি বা কৃত্রিম ফ্লেভার এড়িয়ে প্রাকৃতিক পানীয় পান করাই শ্রেয়।
