২০২৫ সালে প্রেম আর ডেটিংয়ের ধারণা অনেকটাই বদলে গেছে। মানুষ এখন আর শুধু রোম্যান্টিক কথাবার্তা বা ঝলমলে গিফটেই আটকে নেই। সম্পর্ক মানে এখন বোঝাপড়া, মানসিক নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ ভাবনা। ২০২৫ সালে এমনই ৭টি ডেটিং ট্রেন্ড সামনে এসেছে, যার প্রভাব ২০২৬ সালেও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

১. সোয়াগ গ্যাপঃ এখন অনেক সম্পর্কেই দেখা যাচ্ছে, একজনের স্টাইল, সাজগোজ বা আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি, আর অপরজন তুলনামূলক সাধারণ। তবুও সম্পর্ক দিব্যি চলছে। কারণ এখন বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য আর মানসিক সংযোগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

২. ফিউচার-প্রুফিংঃ এখন আর 'চল দেখি কোথায় যায়' টাইপ সম্পর্ক কমছে। শুরু থেকেই মানুষ কথা বলছে ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থাৎ বিয়ে, কেরিয়ার, পরিবার, লক্ষ্য। এতে সময় নষ্ট কম হয় এবং সম্পর্কও অনেক বেশি বাস্তবভিত্তিক হয়।

৩. মাইক্রো-রোম্যান্সঃ বড় সারপ্রাইজ বা দামি উপহারের বদলে ছোট ছোট যত্নই এখন প্রেমের ভাষা। সকালে ‘গুড মর্নিং’ মেসেজ, শরীর খারাপ হলে খোঁজ নেওয়া, একসঙ্গে চা খাওয়া-এই ছোট মুহূর্তগুলোই সম্পর্ককে মজবুত করছে।

৪. ব্ল্যাক ক্যাট বয়ফ্রেন্ড ট্রেন্ডঃ এখানে এমন সঙ্গীর কথা বলা হচ্ছে, যিনি খুব বেশি আবেগ প্রকাশ করেন না, চুপচাপ স্বভাবের, কিন্তু ভীষণ বিশ্বস্ত। বড় বড় প্রেমের কথা না বললেও কাজে ভালবাসা বোঝান। অনেকেই এখন এমন শান্ত সম্পর্ক পছন্দ করছেন।

৫. ঘোস্টলাইটিংঃ এটি খানিকটা নেতিবাচক ট্রেন্ড। কেউ হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, আবার কিছুদিন পর ফিরে এসে এমন ভাব করে যেন কিছুই হয়নি। এতে অপরজন মানসিকভাবে বিভ্রান্ত ও কষ্ট পেতে পারেন। 

৬. শ্রেকিংঃ এই প্রবণতায় কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন মানুষকে ডেট করেন, যাকে সে কম আকর্ষণীয় মনে করে, যাতে তাকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ধরনের সম্পর্ক বেশিরভাগ সময়ই অসম্মানজনক ও বিষাক্ত হয়।

৭. ব্যাংকসিয়িংঃ এখানে কেউ সরাসরি ব্রেকআপ না করে ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়। কম কথা বলা, এড়িয়ে চলা, আবেগ কমানো। ফলে অপরজন বুঝতেই পারে না সম্পর্কটা আসলে শেষের পথে।

সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের ডেটিং ট্রেন্ড বলছে, ভাল সম্পর্ক মানে এখন স্বচ্ছতা, যত্ন আর মানসিক নিরাপত্তা। তবে কিছু বিষাক্ত অভ্যাসও আছে, যেগুলো থেকে সাবধান থাকা জরুরি। এই ট্রেন্ডগুলো ২০২৬ সালেও সম্পর্কের ধরন বদলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।