আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘টক্সিক ওয়ার্ক কালচার’ বা ‘টক্সিক সহকর্মী’- এই ধরনের শব্দবন্ধ এখন মাঝেমধ্যেই শুনতে পাওয়া যায়। সহজ ভাষায়, ‘টক্সিক সহকর্মী’ বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যাঁদের আচরণ, কথাবার্তা এবং মনোভাব কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাঁরা অন্যদের মানসিক শান্তি নষ্ট করেন এবং কাজের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলেন।
কীভাবে চিনবেন এই ধরনের মানুষকে?
 
  * নেতিবাচক কথাবার্তা:
 
    * এই ধরনের মানুষ ক্রমাগত গুজব রটাতে ওস্তাদ, পাশাপাশি তাঁরা অন্যদের সমালোচনা করেন এবং অপরের কাজকে ছোট করে দেখেন।
 * অসহযোগিতা:
 
    * এই ধরনের সহকর্মীরা স্বেচ্ছায় অন্যদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন। কেউ কেউ অন্যদের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হন এবং ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
 * মানসিক চাপ সৃষ্টি:
 
    * কেউ কেউ যাঁদের হিংসে করেন তাঁদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন এবং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেন, দুর্বলতার সুযোগ নেন, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেন।
 
 এহেন সহকর্মীদের কারণে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ, হতাশা এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত সহকর্মীদের সান্নিধ্য মানসিক শান্তির ক্ষেত্রে এক বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। আবার তাঁদের নেতিবাচক আচরণ কাজের পরিবেশকেও দূষিত করে তোলে। তবে, কিছু কৌশল অবলম্বন করে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব:
 * নিজস্ব সীমানা নির্ধারণ:
 
    * টক্সিক সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।
 
    * কর্মক্ষেত্রের বাইরে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা সীমিত রাখুন।
 
    * নেতিবাচক মন্তব্য বা আচরণে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকুন।
 * পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন:
 
    * আচরণ যতই খারাপ লাগুক, তাঁদের সঙ্গে সবসময় শান্ত ও ভদ্রভাবে কথা বলুন।
 
    * কোনও মতেই প্ররোচনায় উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়াবেন না।
 
    * নিজের কাজে মনোনিবেশ করুন এবং উৎকর্ষের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন।
 * ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান:
 
    * যদি কারও আচরণ আপনার কাজ বা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, তবে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করুন।
 
    * সম্ভব হলে, আপনার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করুন।
 * নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন:
 
    * মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত বিশ্রাম নিন এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হন।
 
    * কর্মক্ষেত্রের বাইরে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।
 
    * ইতিবাচক সাহিত্য, চলচ্চিত্র বা আড্ডার মাধ্যমে নিজের মনোবল অটুট রাখুন।
 
  * সঠিক সঙ্গ নির্বাচন:
 
    * কর্মক্ষেত্রে অনেক দায়িত্বশীল ও সামাজিক সচেতনতাসম্পন্ন মানুষও থাকেন। তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন।
 
 মনে রাখবেন, আপনার মানসিক সুস্থতা সর্বাগ্রে। তাই, প্রয়োজনে কর্মস্থল পরিবর্তনের কথাও বিবেচনা করতে পারেন।
