সকালে ঘুম থেকে উঠতেই খুসখুসে কাশি। হাসলে বা কোনও কারণে গলায় চাপ পড়লে অনবরত কাশতে থাকছেন। পুজোর সময়ে আবহাওয়ার হেরফের হলে ঠান্ডা-গরমে এই ধরনের সর্দি, কাশি হয় অনেকেরই। কিন্তু তা ঠান্ডা লেগে হচ্ছে নাকি অন্য কোনও কারণে, তা বোঝা জরুরি। বিশেষ করে এই সমস্যা নিয়ে পুজোয় ঘুরতে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকির। ভিড়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেশি। তাই ঠিক কোন কারণে কাশি হচ্ছে তা বোঝা প্রয়োজন।
অনেকেই কাশিকে ছোটখাটো সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। কাশির সঙ্গে অন্যান্য কয়েকটি লক্ষণ থাকলে অবহেলা করা উচিত নয়।
কোন কারণে কাশি
১. অ্যালার্জি ও হাঁপানিঃ শ্বাসনালীর প্রদাহ বা সংক্রমণ যেমন অ্যালার্জি, ব্রঙ্কাইটিস বা হাঁপানি সকালে কাশির সাধারণ কারণ। এই ধরনের কাশি প্রায় প্রতিদিন হয় এবং ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়তে-কমতে পারে। সাধারণত অ্যালার্জি বা হাঁপানির ওষুধে সাময়িকভাবে এটি কমে।
২. অ্যাসিড রিফ্লাক্স (জিইআরডি)ঃ রাতে শোওয়ার সময় পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরের খাদ্যনালীর দিকে ওঠে এসে গলা ও শ্বাসনালীকে জ্বালাতে পারে। এর ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এটিকে অনেক সময় রোগী ‘খিদে বা অজানা জ্বালা’ বলে মনে করে।
৩. দূষণ ও ধোঁয়াঃ সিগারেটের ধোঁয়া বা দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে থাকা শ্বাসনালীর প্রদাহ বাড়াতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের পরিবেশে থাকা ব্যক্তিদের সকালে কাশির সমস্যা দেখা দেয়।

কখন সতর্ক হবেন
*পিত্ত বা সবুজ রঙের কফ
*কফে রক্তের উপস্থিতি
*শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি
*বুকে ব্যথা
*দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
*অজানা কারণে ওজন কমে যাওয়া বা ক্ষুধামন্দা
এই লক্ষণগুলো টিউবারকুলোসিস (টিবি), ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা ফুসফুসের ক্যানসার সহ অন্যান্য গুরুতর রোগের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে। যদি কাশি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা করলে রোগের জটিলতা কমানো সম্ভব। যা বিশেষ করে ধূমপায়ী ও শ্বাসনালীর সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
