আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য প্রাতরাশে ওট্‌সই হতে পারে অন্যতম একটি পছন্দের খাবার। হার্টকে সুস্থ রাখতে এর তুলনা নেই।এই খাবার অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখে। ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম।এছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ওট্‌সের কোনও জুড়ি নেই। এতে প্রচুর ফাইবার আছে।ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্‌স খেলে। দুধের সঙ্গে ওটস খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কিন্তু রোজ খেতে একঘেয়েমি লাগতে পারে।তাছাড়া যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে বা দুধ খেতে পছন্দ করেন না তাদের ওটসের পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে এবং মুখোরোচক হবে এমন কিছু পদ তৈরি করতে হবে যাতে পেট ও স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক থাকবে। তবেই ব্রেকফাস্ট হবে জমিয়ে।

কলা ভালো করে চটকে নিন। একটি বাটিতে ওটস, কলা, ভ্যানিলা এসেন্স সব কিছু মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ মিনিট মিডিয়াম ফ্লেমে নাড়াচাড়া করে নিন। ঘন হয়ে এলে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই হবে। এই ওটস কিন্তু গরম গরম খাবেন। বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না।

একটা প্যানে এক কাপ ওটস দিন। এক কাপ জল ঢালুন। এবার মিডিয়াম ফ্লেমে ভালো করে নাড়তে থাকুন। যাতে ওটস নরম হয়ে যায়। খুব বেশি পাতলা কিন্তু হবে না।ওর মধ্যে ফেটিয়ে রাখা এককাপ টকদই, গাজর কুচি, শসা কুচি, লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা, স্বাদমতো নুন মিশিয়ে ভালো করে সবকিছু মিশিয়ে নিন। এবার একটি প্যানে সামান্য তেল দিয়ে একদম অল্প পরিমাণ বিউলির ডাল, গোটা জিরে, কালো সর্ষে ফোড়ন দিয়ে নাড়ুন। শুকনো লঙ্কা আর কারিপাতাও দিন। এবার এই পুরোটা ওটসের মিশ্রণের উপর ঢেলে দিন। প্রয়োজন মনে হলে আরও টকদই মেশাতে পারেন। আচার আর রোস্টেড পাপড়ের সঙ্গে খেতে পারেন। 

ওটসের এই রেসিপিটি বাচ্চাদের জন্য একদম সঠিক জলখাবার। শুকনো কড়াইতে ওটস রোস্ট করে নিন। গাজর, বিনস, বিট, মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম সব সরু করে কুচিয়ে নিন। লঙ্কা, পেঁয়াজ, আদা কুচিয়ে রাখুন। নারকেল কুচনো নিন হাফ কাপ। কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে সরষে, কারিপাতা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা ফোড়ন দিন। এবার ওর মধ্যে সবজির কুচি মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছু বাদাম মিশিয়ে দিন। স্বাদমতো নুন, চিনি আর গোলমরিচের গুঁড়ো মেশান। এবার নারকেল কুচি মিশিয়ে কাপ জল দিন। জল ফুটে এলে ওটস দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিন। শুকনো হয়ে এলে নামিয়ে