আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুস্থ থাকতে দুধ খাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। দুধে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের যত্ন নেয়। বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের খনি দুধ নিয়মিত খেলে হাড়, জয়েন্টের ব্যথা কমে। একইসঙ্গে নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড সহ প্রোটিনে ভরপুর দুধ রোজ খেলে অনেক রোগভোগ থেকে দূরে থাকা যায়। বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সে দুধ খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। দুধ খেলেই হল না, কেমন দুধ খাচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে পুষ্টিগুণ। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য প্যাকেটের নাকি টেট্রা প্যাকের দুধ ভাল, জেনে নিয়ে সেই বিষয়ে-
ভারতীয় বাজারে দুধ মোটামুটি তিন ভাবে পাওয়া যায়। স্থানীয় মাধ্যম অর্থাৎ খাটাল থেকে দুধ সরাসরি বাড়িতে আসে। দ্বিতীয়, প্লাস্টিক প্যাকেট বা পাউচের দুধ, আর তৃতীয়হল টেট্রা প্যাকের। আবার পাউচের দুধ তিন রকম হয়, তা হল টোনড, ডবল টোনড এবং ফুল ক্রিম মিল্ক। এর মধ্যে বর্তমানে খাটালের দুধের বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে। বেশিরভাগ বাড়িতেই প্যাকেটের কিংবা টেট্রা প্যাকের দুধের ব্যবহার বেশি।
সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, দীর্ঘ দিন প্লাস্টিকের মধ্যে দুধ তাজা রাখতে রাসায়নিক ও কীটনাশক মেশানো হচ্ছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই দুধ খুব উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটানো হয় না। ৭২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাত্র ১৫ সেকেন্ড ফুটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা করে প্যাকেটে ভরে দেওয়া হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয় না। তাই এই দুধ খাঁটি কিনা যাচাই করে নিতে হবে। সঙ্গে খাওয়ার আগে ভাল করে ফুটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, টেট্রা প্যাকের দুধ সবচেয়ে সুরক্ষিত। টেট্রা প্যাকের দুধকে খুবই উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটানো হয়। সাধারণত ১৩৫ থেকে ১৫৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তবেই এই দুধকে প্যাকেটবন্দি করা হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটানোর কারণে এই দুধে কোনও রকম জীবাণু থাকে না। প্যাকেটে ভর্তি করার আগে এই দুধ নানা রকম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়। তাই টেট্রা প্যাক ও পাউচের দুধের মধ্যে তুলনা করা হয়, তাহলে টেট্রা প্যাকের দুধ বেশি সুরক্ষিত।
