আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুনতে অবাক লাগলেও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা অনুযায়ী, নগ্ন হয়ে ঘুমানো শরীরের জন্য বেশ কিছু দিক থেকে লাভজনক। অনলাইন বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন-এর ২০২৪ এর একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন নগ্ন হয়ে ঘুমালে কী কী উপকার পাওয়া যেতে পারে।

১.  ভাল ঘুম: শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঘুমের গুণমানকে প্রভাবিত করে। নগ্ন হয়ে ঘুমালে শরীর সহজে তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম পেতে সাহায্য করে। পোশাক, বিশেষ করে আঁটসাঁট বা গরম পোশাক, শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
২.  ত্বকের স্বাস্থ্য: নগ্ন অবস্থায় ঘুমালে ত্বক ভালভাবে শ্বাস নিতে পারে। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত যেসব জায়গায় ঘাম বেশি জমে (যেমন বগল, কুঁচকি), সেখানে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় ত্বক সুস্থ থাকে।
৩.  বিপাক ক্রিয়া ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: অপেক্ষাকৃত শীতল পরিবেশে ঘুমালে শরীরের 'ব্রাউন ফ্যাট' (এক ধরনের ভাল ফ্যাট যা ক্যালরি পুড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রা তৈরি করে) সক্রিয়তা বাড়তে পারে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ দ্বারা পরিচালিত ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক মাস ধরে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার কক্ষে (১৯° সেলসিয়াস বা ৬৬° ফারেনহাইট) ঘুমানোর ফলে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বা শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতা বেড়েছে। নগ্ন হয়ে ঘুমালে শরীর ঠান্ডা থাকে, যা এই ধরনের উপকার পেতে সহায়ক।
৪.  পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য: পুরুষদের ক্ষেত্রে, অণ্ডকোষের তাপমাত্রা শরীরের বাকি অংশের চেয়ে কিছুটা কম থাকা শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য জরুরি। আঁটসাঁট অন্তর্বাস বা পাজামা পরলে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস করতে পারে। নগ্ন হয়ে ঘুমালে অণ্ডকোষ ঠান্ডা থাকে, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।