প্রকৃতির নিয়মে বার্ধক্য একদিন আসবেই। সময়ের আগে এলে তা মোটেই সুখকর নয়। বেশ কয়েক বছর আগেও কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু বর্তমানে বয়স ৪০-এর কোটা পেরতে না পেরতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ, জেল্লা হারাচ্ছে ত্বক। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় কোনও লাভই হয় না। আর তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘরোয়া টোটকা। এক্ষেত্রে রান্নাঘরের সবচেয়ে সহজলভ্য সবজি আলুই ত্বকের জেল্লা ফেরাতে সিদ্ধহস্ত।

রান্নায় আলু নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। আর এই আলু আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও একইভাবে উপকারী। আলুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। ট্যান, বলিরেখা, ব্রণর মতো ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে আলু। একঝলকে জেনে নিন ত্বকে আলু ব্যবহারের একাধিক উপকারিতা।

আরও পড়ুনঃ নামী-দামি শ্যাম্পু, প্রসাধনী ব্যবহার করেও খুশকির সমস্যায় নাজেহাল? কয়েকটি ঘরোয়া কৌশল মেনে চললেই পাবেন

•    মেচেতার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আলুর রস হতে পারে অন্যতম সমাধান। আলুর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তারপর রস ছেঁকে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টা খানেক। শুকিয়ে খটখটে হয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করলেই মিলবে সুফল।
•    ত্বকে আলু ঘষলে ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও সেরে যায়। আলুতে উপস্থিত উৎসেচক ত্বককে ঠান্ডা করে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গোল আকারে পাতলা করে আলু কেটে ১০-১৫ মিনিট সারা মুখে ঘষুন। বিশেষ করে মুখের যে অংশে দাগছোপের পরিমাণ বেশি, সেখানে ভাল করে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। কয়েক দিনেই উঠে যাবে দাগছোপ।


•    আপনি যদি মুখের বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার সমস্যায় ভোগেন, তাহলেও আলুতে রয়েছে সমাধান। মুখে আলু ঘষে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখা কমায়।

•    আলু ত্বকে উপস্থিত অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। ফলে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এই সবজি। আলুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ছিদ্র পরিষ্কার করতে এবং ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আলু সূর্যালোক থেকে হওয়া ত্বকের ক্ষতিও মেরামত করে।