আজকাল ওয়েবডেস্ক: একই সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা পাঁচ বান্ধবী! তাঁদের সবাইকে নিয়েই একসঙ্গে মেজাজে আছেন সংগীতশিল্পী! সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম-এ। তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেল, অদ্ভুত শোনালেও ঘটনা কিন্তু মোটেই অসত্য নয়! বাস্তবেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের উঠতি র্যাপ শিল্পী জেড্ডি উইল।
শিল্পীকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে তোলপাড় চলছে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স-সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায়। সত্যিই একসঙ্গে পাঁচজন প্রেমিকাকে অন্তঃসত্ত্বা করে ফেলেছেন এই তারকা!
আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
তবে ঘটনাটি ঘটে গত বছর। অর্থাৎ ২০২৪ সালে। এই সঙ্গীত তারকা মূলত নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। মঞ্চে ছন্দের ঝড় তুললেও ব্যক্তিগত জীবনের এই ‘ঝড়’ যে তাঁর কেরিয়ারে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বীর্যপাতে মৃত্যু! শুক্রাণু দান করার নেশায় ডাক্তারি পড়ুয়ার করুণ পরিণতি জানলে চোখে জল আসবে
ঘটনার সূত্রপাত এক টিকটক ভিডিও থেকে। ভিডিওটিতে জেড্ডি-কে দেখা যায় পাঁচজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সঙ্গে একটি ফটোশুটে অংশ নিতে। সকলেই গর্বিতভাবে নিজেদের ‘জেড্ডি-র বেবি মমা’ বলে দাবি করেন। ওই ভিডিওতে প্রত্যেকেই পরেছেন মেটালিক রঙের ড্রেস, একের পর এক হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন সঙ্গীত তারকার সঙ্গে। মুহূর্তেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। নেটিজেনদের একাংশ মজা করলেও, অনেকেই কপালে হাত দিয়েছেন বিষয়টি দেখে।
চাঞ্চল্য চরমে ওঠে, যখন জানা যায় এই পাঁচজন নারীর প্রত্যেকেই গত কয়েক মাস ধরে জেড্ডি-এর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তাঁরা আবার এও জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের কথা জানতেন না, সবটাই ধরা পড়ে ওই ফটোশুটের আগেই, এক বন্ধুর মাধ্যমে।
জেড্ডি এখনও পর্যন্ত এই বিতর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘জেড্ডি নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করছেন না। তিনি এই সন্তানদের বাবার ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত এবং সমস্ত মায়েদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’’
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে অনলাইন দুনিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এই ধরনের ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ কি শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে? অনেকে আবার নারী-পুরুষ সম্পর্কের জটিলতা, বিশ্বাস এবং প্রতারণার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কারও মতে, এটা নিছকই ব্যক্তিগত বিষয়। আবার কারও মতে, এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ একজন জনপ্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে কাম্য নয়।
মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংগঠনগুলিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। একটি সংগঠন জানিয়েছে, ‘‘গ্ল্যামার জগতে নারীর শরীরকে যেভাবে বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটা নিছক ব্যক্তিগত ঘটনা নয়।’’ সব মিলিয়ে জেড্ডি-র সঙ্গীত কেরিয়ার কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তাঁর ভক্তরা।
