আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, যায় বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়- ‘যার নাক যত বড়, তাঁর পুরুষাঙ্গও তত বড়’। লোকমুখে প্রচলিত এই ধারণাটি নিছক রসিকতা, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান? বিতর্ক বহুদিনের। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বহুল প্রচলিত এই জনশ্রুতিতেই সিলমোহর দিল গবেষণা। সম্প্রতি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিচালিত দুটি পৃথক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য, পুরুষদের নাকের গড়ন দেখে তাঁদের পুরুষাঙ্গের আকার সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব।
প্রথম গবেষণাটি প্রকাশিত হয় জাপানের ‘কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন’-এর জার্নালে। সেখানে ১২৬ জন পুরুষের মৃতদেহের পুঙ্খানুপুঙ্খ শারীরিক পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা এক আশ্চর্য তথ্য খুঁজে পান। তাঁদের দাবি, মৃতদেহের নাকের দৈর্ঘ্য এবং প্রসারিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যে মধ্যে সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁদের নাক অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, তাঁদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যও আনুপাতিকভাবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
একই ধরনের ইঙ্গিত মিলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ইউরোলজি ক্লিনিকে করা গবেষণাতেও। ১,১৬০ জন পুরুষের উপর চালানো এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পরিসংখ্যানগতভাবে নাকের দৈর্ঘ্য এবং পরিধির সঙ্গে পুরুষাঙ্গের আকারের ‘দৃঢ়’ সম্পর্ক রয়েছে।
কিন্তু এই অদ্ভুত সম্পর্কের কারণ কী?
বিষয়টির নেপথ্যে হরমোনের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, ভ্রূণ অবস্থায় থাকাকালীন পুরুষদের যৌনাঙ্গ এবং নাকের গঠনের বিকাশে টেস্টোস্টেরন হরমোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। যেহেতু উভয় অঙ্গের বৃদ্ধি একই হরমোনের দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাই তাদের মধ্যে আকারের এই সাদৃশ্য থাকা অস্বাভাবিক নয়।
তবে গবেষকরা স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন যে, এই সম্পর্ককে ধ্রুবসত্য বলে ধরে নেওয়ার কারণ নেই। কারণ, জাতি, জিনগত গঠন, পরিবেশ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো একাধিক জটিল বিষয় পুরুষাঙ্গের আকারের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই শুধুমাত্র নাক দেখে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা অবৈজ্ঞানিক।
