আজকাল ওয়েবডেস্কঃ নেটফ্লিক্সে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’র নতুন সিজনে প্রথম অতিথি হয়ে এসেছেন সলমন খান। সেখানেই ভক্তদের চমকে দিয়ে নিজের শারীরিক জটিলতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন ভাইজান। ৫৯ বছর বয়সি অভিনেতা অকপটে জানান, নানা জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করেও তিনি প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন। 

ব্রেন অ্যানিউরিজমের মতো একটি বিরল রোগে ভুগছেন সলমন। তাঁর কথায়, "প্রতিদিন আমার হাড় ভাঙছে—পাঁজর ভেঙে গেছে, তবু কাজ করছি। আমার ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া আছে, ব্রেনে অ্যানিউরিজম রয়েছে, আবার আছে এভি ম্যালফরমেশন। সবকিছু সত্ত্বেও আমি চালিয়ে যাচ্ছি।’ স্বাভাবিকভাবেই এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভক্তদের কপালে। ঠিক কী এই রোগ? 

সেরিব্রাল অ্যানিউরিজম’-এর অপর নাম ব্রেন অ্যানিউরিজম। আবার ইন্ট্রাক্রানিয়াল অ্যানিউরিজমও বলা হয়। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালীর দেওয়ালে একটি অস্বাভাবিক দুর্বলতা বা ফুলে যায়। এটি একটি বেলুনের মতো দেখায় যা রক্তে পূর্ণ থাকে। মস্তিষ্কের রক্তনালীর দুর্বলতার কারণে এটি ফেটে যেতে পারে, যা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটায়। এই রক্তক্ষরণ অত্যন্ত গুরুতর এবং মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, মস্তিষ্কের ধমনীর দেওয়াল পাতলা এবং দুর্বল হয়ে এলে অ্যানিউরিজম দেখা দিতে পারে। তবে, অনেকে মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম নিয়েও জন্মগ্রহণ করে থাকে। এটি জন্মসূত্রে ধমনীর দেওয়ালের অস্বাভাবিকতার কারণে তৈরি হয়। ধমনীর দুর্বলতা ছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহলে আসক্তি, উচ্চ রক্তচাপ, জেনেটিক ত্রুটিও ব্রেন অ্যানিউরিজমের কারণ হতে পারে।

সাধারণত অ্যানিউরিজম যতক্ষণ না ফেটে যায় বা বড় হয়ে স্নায়ু বা টিস্যুতে চাপ সৃষ্টি করে ততক্ষণ লক্ষণ দেখা দেয় না। তবে অ্যানিউরিজম ফেটে গেলে তীব্র উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আকস্মিক ও তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ও শরীরে খিঁচুনি হতে পারে।

অ্যানিউরিজমের আকার, অবস্থান এবং ফেটে যাওয়ার ঝুঁকির উপর চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে। যদি অ্যানিউরিজম ছোট হয় এবং ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে, তাহলে চিকিৎসকেরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন এবং জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন। এছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বা অন্যান্য ঝুঁকির কারণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। তবে বড় বা ফেটে যাওয়া অ্যানিউরিজমের জন্য অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।