আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আচরণ ও ব্যবহারই হল মানুষের একমাত্র পরিচয়। তাই তো অর্থই একমাত্র শেষ কথা নয়। সুন্দর কথা বলার অভ্যেস, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও মানসিকতাই বাড়ায় সম্মান। আসলে সম্মান সকলের কাছেই দামি। তবে কেউ সম্মান বাঁচাতে পারেন, কেউ পারেন না। সকলে ইচ্ছাকৃত যে সম্মান হারিয়ে ফেলেন, এমনটা নয়। তবে সম্মান একবার হারালে ফিরে পাওয়া কঠিন। সম্মান হারানোর নেপথ্যে থাকতে পারে নিজের অজান্তে করা বেশ কয়েকটা ভুল। রোজকার জীবনের কিছু আচরণের জন্য আপনি অন্যদের কাছে মান-সম্মান হারাতে পারেন। তেমনই ১০টি আচরণ নিয়ে সতর্ক হন।
১. অসততা-অসৎ মানুষদের কখনোই সম্মান প্রাপ্তি হয় না। অনবরত মিথ্যে কথা বলা কিংবা কাজের প্রতি সৎ থাকা মানুষরাই মান-সম্মানের ভাগিদার হন। 
 
 ২. অসম্মান- সম্মান একটি দ্বিমুখী বিষয়। তাই নিজে সম্মান পেতে হলে অন্যদেরও সম্মান করতে হবে। অন্যদের প্রতি অসম্মানজনক হওয়া,, হতাশাজনক মন্তব্য করা কিংবা তুচ্ছ আচরণ করলে আপনি সকলের মাঝে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারেন। হারাতে পারেন শ্রদ্ধা।  
 
 ৩. আচরণে অসঙ্গতি- ঘন ঘন মুড সুইং হলে অনেকেরই আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়। তাই অন্যদের কাছে সম্মান পেতে হলে নিজের আচরণ ঠিক রাখা জরুরি।
 
 ৪. অহংঙ্কার- কিছু বিষয়ে নিজের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং দাম্ভিকতার কারণে অন্যদের চোখে আপনি সম্মান হারাতে পারেন। একইসঙ্গে অন্যদের ‘তুচ্ছ’ প্রমাণিত করাও সম্মানহানি ঘটাতে পারে।
 
 ৫. স্বার্থপরতা- অন্যদের অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছে, প্রয়োজনকে সব সময়ে প্রাধান্য দিলে সম্মান হারাতে পারেন।
 
 ৬. ভুল স্বীকার না করা- কোনও বিষয়ে ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই ভুল স্বীকার না করে অহেতুক তর্ক করলে সম্মান হারাবেন বই কী!
 
 ৭. পরিবর্তনকে মানতে না পারা- পরিবর্তনই  একমাত্র ধ্রুবক। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হবে আপনাকে।কিন্তু পরিবর্তনে অনিহা থাকলে আপনি সম্মান হারাতে পারেন। 
 
 ৮. অতিরিক্ত সমালোচনা- অতিরিক্ত নিন্দা-সমালোচনা করলে তা কারওর কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। সম্পর্কে ইতিবাচক থাকাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। 
 
 ৯. অন্যকে দোষারোপ করা- যে কোনও বিষয়ে অন্যকে দোষারোপ করা মোটেও ঠিক নয়। এতে আপনার সততার অভাব ধরা পড়ে। নিজের ভুল স্বীকার করে না নিলে শ্রদ্ধা হারাবেন।
 
 ১০. সহানুভূতির অভাব- অন্যদের প্রতি সহানুভূতি থাকা জরুরি। যে কোনও বিষয়ে সংবেদনশীল না হলে আপনি সম্মান হারাতে পারেন।
