আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতকাল মানেই বাজারের ব্যাগে উঁকি দেয় পেঁয়াজকলি। আলু দিয়ে খানিকটা ভেজে নিলেই দুপুরে ভাতের পাতে বা রাতে ডিনারের সঙ্গে জমে যাবে এই খাবার। শুধু স্বাদের জন্য নয়, নানা ধরণের উপকারি উপাদানও রয়েছে এই সবজিতে। পেঁয়াজকলির ভেষজ গুণ জানলে অবাক হবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পেঁয়াজকলিতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে।

খাবার হিসেবে ব্যবহার নয় ঔষধি গুণে ভরপুর পেঁয়াজকলি। পেঁয়াজকলিতে বেদনা উপশমকারী উপাদান থাকায় এটি দ্রুত মাথা, মাংসপেশি এবং হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। কাঁচা অবস্থাতে পেঁয়াজকলি খাওয়া হয়। সবুজ এই নরম খাদ্য উপাদান ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশন মুক্ত রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ক্যান্সারের মতো একটি জটিল অসুখ থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা যায় ততই মঙ্গল। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পেঁয়াজকলি। নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদান খেলে ক্যান্সার কোষের বাড়বাড়ন্ত রুখে দেওয়া যাবে। বিশেষ করে, পাকস্থলীর ক্যান্সারকে দূরে রাখার কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই নিজেকে কর্কট রোগের করাল গ্রাস থেকে দূরে রাখতে চাইলে এই সবজির নানা পদ খেতে ভুলবেন না যেন। 

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাজানো সংসার। একটু সুযোগ দিলেই এই সব জীবাণু দ্রুত গতিতে শরীরের উপর আক্রমণ চালাতে ওস্তাদ। তাই এই সব মাইক্রোঅর্গানিজম নিয়ে সদা সচেতন থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত পেঁয়াজকলি খেলে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাসের প্রভাব থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা যায়। বিশেষত, সালমোনেল্লা এবং ই কোলির মতো জীবাণুকে ধ্বংস করার কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। 

পেঁয়াজকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রেয়েন্ট। আর এই উপাদানই কিন্তু সেল ড্যামেজ বা কোষের ক্ষতি আটকায়। এমনকী দেহে উপস্থিত ক্ষতিকর সব পদার্থকে দূর করে দেওয়ার কাজেও সিদ্ধহস্ত এই উপাদান। ফলে নিয়মিত পেঁয়াজকলি খেলে হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার সহ বিভিন্ন ক্রনিক অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তাই প্রতিদিনের পাতে পেঁয়াজকলির পদ রাখার চেষ্টা করুন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।