সামনেই বিয়ে। হাজারো কেনাকাটি, চিন্তার মধ্যে কোথায় মধুচন্দ্রিমায় যাবেন বুঝে উঠছেন না? একটু নিরিবিলিতে দু'জনে একান্তে সময় কাটানোর পরিকল্পনা? উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে, ভারতের এই হিডেন জেমগুলোর একটায় যেতে পারেন। পকেটে বিশেষ চাপ পড়বে না। আবার ভিড় এড়িয়ে ঘুরে আসা যাবে।
উত্তরাখণ্ডের কৌশানী যেতে পারেন মধুচন্দ্রিমায়। চা বাগান, বরফঢাকা পাহাড় শৃঙ্গ সবই পাবেন। শীতের এই মরশুমে গেলে তুষারপাত পেতে পারেন।
অসমের মাজুলি অর্থাৎ বিশ্বের সর্ববৃহৎ নদী দ্বীপে বেড়াতে যেতে পারেন। প্রকৃতি যেন দু'হাতে ঢেলে সাজিয়েছে এই জায়গাটিকে। ব্রহ্মপুত্র নদে সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ পাবেন। সঙ্গে নিরিবিলি গ্রাম্য পরিবেশ, মনাস্ট্রি তো আছেই।
পকেটে চাপ দিয়ে সুইজারল্যান্ড না হলেও, ভারতের মিনি সুইজারল্যান্ড গেলে কেমন হয় মধুচন্দ্রিমায়? বিষয়টা মনে ধরলে গন্তব্য হতে পারে চোপতা ভ্যালি। ঢেউ খেলানো সবুজ মাঠ, বরফ ঢাকা পাহাড়, চিরসবুজ জঙ্গলের মনোরম সৌন্দর্য সবই পাবেন এখানে। ভিড়ও তুলনায় কম থাকে।
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ বেড়াতে যেতে পারেন দু'জনায়। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম। বরফে ঢাকা সুউচ্চ সব পাহাড়, হ্রদ, মনাস্ট্রি দিয়ে সাজানো। কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটাতে চাইলে এখানে আসতেই পারেন।
দু'জনেই যদি ট্রেকিং ভালবাসেন তাহলে চলে যেতে পারেন জুকু ভ্যালি। মণিপুর এবং নাগাল্যান্ড রাজ্যের ঠিক সীমান্তবর্তী এলাকায় এটি অবস্থিত। ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড় চোখের আরাম দেবে। পথে সঙ্গী হবে ছোট ঝোরা, নদী।
উত্তর পূর্বের লোকটাক হ্রদ অর্থাৎ, ভারতের একমাত্র ভাসমান অভয়ারণ্যে যেতে পারেন মধুচন্দ্রিমায়। মিষ্টি জলের এই হ্রদের সৌন্দর্য অপরূপ। এখানকার সেন্দ্রা দ্বীপে কয়েকদিন কাটিয়ে আসতে পারেন।
দক্ষিণ ভারত যেতে চাইলে গন্তব্য হতে পারে কুর্গ। কফি বাগান, পাহাড়, আর যেদিকে তাকাও সেদিকেই সবুজ। ছুটির একেবারেই আদর্শ গন্তব্য যেন।
যদি বালি বা মালদ্বীপ না যেতে চান। আবার উল্লিখিত বাকি জায়গার তুলনায় একটু বেশি খরচ করতে চান ঘুরে আসতে পারেন লাক্ষাদ্বীপ থেকে। নীল জলরাশি, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে একান্তে সময় ভালই কাটবে।
গন্তব্য যাই হোক, বিয়ের পর, নিজেদের আরও একটু বেশি সময় দেওয়া, একসঙ্গে সময় কাটানোই মূল উদ্দেশ্য মধুচন্দ্রিমার। তাই পছন্দের জায়গা বেছে নেওয়ার পাশাপাশি একে অন্যের সঙ্গে সুসময় কাটান মুটোফোনের বাইরে বেরিয়ে।
