আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালি আর গ্যাসের সমস্যা, এই যুগলবন্দি শোলের জয়-বীরুর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। গ্যাসের গুঁতোয় খেয়ে ওঠার পরেই পেট এমন ফুলকো লুচির মতো লাগে যে নড়াচড়া করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। কিন্তু এত ওষুধ খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ভাল? মোটেই না। বরং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন। ফেট ফাঁপাও কমবে, শরীরে বাড়তি রাসায়নিকও ঢুকবে না।
১. আদা: প্রাচীন আয়ুর্বেদে আদাকে বলা হত শৃঙবের। হরিণের শিং-এর মতো এই ভেষজ অতি প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদা হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্যাস কমাতে খুব কার্যকর। এক টুকরো তাজা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন। গরম জলে কয়েক টুকরো আদা ফুটিয়ে, সামান্য মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
২. জোয়ান (আজওয়াইন): জোয়ান গ্যাস, অম্বল এবং পেট ফাঁপার একটি চমৎকার প্রতিকার। আধ চামচ জোয়ান সামান্য লবণ দিয়ে চিবিয়ে জল দিয়ে গিলে ফেলুন অথবা গরম জলে জোয়ান ফুটিয়ে সেই জল পান করুন।
আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
৩. জিরা জল: জিরা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস নির্গত হতে সহায়তা করে। এক চামচ জিরা এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। সারারাত জিরা জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল খেলেও উপকার পাওয়া যায়। আধা চামচ জিরা এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন, কেল্লা ফতে।
৪. মৌরি: মৌরি মুখশুদ্ধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেট ফাঁপা কমায়। খাওয়ার পর এক চামচ মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা মৌরি ভেজানো জল বা মৌরি চা পান করতে পারেন।
৫. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা পেট ঠান্ডা রাখে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন।
৬. হিং: হিং গ্যাস দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে। এক চিমটে হিং সামান্য গরম জলে গুলে সেটি নাভির চারপাশে লাগালে অথবা অল্প পরিমাণে (খুব সামান্য) গরম জলে গুলে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সরাসরি বেশি পরিমাণে হিং খাবেন না।
